সকল মেনু

ধনিয়াপাতায়ও ফিরছে সচ্ছলতা!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ মণ ধনিয়া পাতা যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে। ধনিয়া পাতা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন এখানকার ক্ষুদ্র কৃষকরা। চরাঞ্চলে কম পুঁজিতে ও অল্প সময়ে ধনিয়া পাতা উৎপাদন করে সচ্ছলতা ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন অনেক কৃষক পরিবার।

এদের মধ্যে অন্যতম সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের চরবাগডাঙ্গা গ্রামের মোঃ রুবেল ও আবু তালেব। তাদের উৎপাদিত ধনিয়াপাতা এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ধনিয়া পাতা চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি মৌসুমে জেলায় এর চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি বছর জেলার ২টি উপজেলায় ১৫৩ হেক্টর জমিতে সবজি হিসাবে ধনিয়া পাতা চাষ করা হয়েছে এবং আরও প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে এই পাতার চাষ হবে। সদর উপজেলার আলাতুলি, শাহজাহানপুর, দেবীনগর, সুন্দরপুর, চরবাগডাঙ্গা, ইসলামপুর, নারায়নপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, উজিরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে ধনিয়া পাতার বানিজ্যিক আবাদ হচ্ছে। মূলত চরাঞ্চলে বন্যার পানিতে আসা পলি জমে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধনিয়া পাতার আবাদ বেশি হয়ে থাকে।

আলাপকালে রুবেল ও আবু তালেব জানান, এক বিঘা জমিতে ধনিয়া পাতা চাষে সর্বসাকুল্যে উৎপাদন খরচ হয় বিঘা প্রতি আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা। উৎপাদিত ধনিয়া পাতা বিক্রি করে তারা আয় করেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। নিজের জমি ছাড়াও তারা অন্যের জমির ধনিয়া পাতা বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০হাজার টাকা দরে কিনেও বেশিদামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। তারা ৩ বছরে সংসারে স্বচ্ছলতা এনে কিছু জমিও কিনেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ধনিয়া পাতার চাষ হয় এবং ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে জমি থেকে পাতা সংগ্রহ করে কৃষকরা। এক জমিতে মৌসুমে ৩/৪ বার ধনিয়া পাতা উৎপাদন করা যায়। কম খরচে অল্প সময়ে বেশি আয় হওয়ায় জেলার চরাঞ্চলের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা সবজি হিসাবে ধনিয়া পাতা চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top