সকল মেনু

চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত

  আদালত প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার এএসআই মজনুসহ তিন পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মারধর ও চাঁদাবাজির মামলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলী মাসুদ সেখ এই আদেশ দেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পল্টন থানার কনস্টেবল রবিউল ও অঞ্জন আনছার। এরআগে আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ভূইয়া পাড়ার মৃত কাইয়ুম আলী শেখের ছেলে মো. মোলায়মান শেখ। এবিষয়ে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোরশেদ হোসেন শাহীন সাংবাদিকের জানান, বাদীর জবানবন্দি গ্রহন শেষে আদালত মামলাটি গোয়েন্দ পুলিশের এস আই পদ মর্যাদার চেয়ে উপরস্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামি বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগ করা হয়, মো. সোলায়মান শেখ ওএমএস ডিলার শফিউল্লাহর পিকআপ চালক। গত ৫ মে সকাল সাড়ে ৯ টায় খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগের মেরাদিয়ায় ওএমএস’র চাল গাড়িতে তোলার সময় টহলরত খিলগাঁও থানার তৎকালীন এএসআই মজনুর নেতৃত্বে ও নির্দেশে কনস্টেবল রবিউল ও অঞ্জন আনসার অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করতে শুরু করে। পরে সোলায়মান শেখ ও অপর পিকআপের চালক আমিনের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে।

এসময় মো. সোলায়মান শেখ তার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলে এএসআই মজনু বাধা দেন। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে ওএমএস ডিলার শফিউল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে চালের বৈধতার কাগজপত্র দেখান। তখন পুলিশের ওই সদস্যরা সোলায়মান শেখ ও চালবাহী ট্রাক থানায় নেয়া থেকে বিরত থাকে। তবে চালের মালিক ঘটনাস্থলে আসার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সোলায়মানে শেখের মোবাইল ও তার পকেটে থাকা ৬ হাজার তিনশত টাকা নিয়ে যায় পুলিশের এ সদস্যরা। পরে অবশ্য মোবাইল ফোনটি ফেরত দেয় কিন্তু টাকা আর ফেরত দেয়নি। এ ঘটনায় সোলায়মান শেখ খিলগাঁও থানায় মামলা করতে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলা নেয়নি। পরে এ ঘটনায় বাদী গত ৮ মে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জুন ও ১৪ জুন মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে তাকে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেন। পরে তিনি ওই দুই দিন ওখানে সাক্ষীসহ উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এরপর একই বিষয়ে গত ৮ জুলাই ও ১৪ জুলাই ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়েও সাক্ষীসহ তার জবানবন্দিপ্রদান করেন সোলায়মান শেখ। কিন্তু ওইসব তদন্তের কোনো ফলাফল জানতে না পেরে তিনি গত ৮ অক্টোবর আবারও স্বরাষ্ট্র সচিবের বরাবরে আরেকটি দরখাস্ত দাখিল করেন। কিন্তু কোনো ধরনের অগ্রগতি জানতে না পেরে তিনি আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top