সকল মেনু

যুবদল কর্মী হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন বাবরসহ ১০ আসামী

চট্টগ্রাম : যুবদল কর্মী আজাদ আলী খান হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ১০ আসামী।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা তারিক আহমেদ আলোচিত এ মামলার রায় ষোষণা করেন।

আসামীদের খালাসের বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল যুবদলের একটি মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে ওই সংগঠনের কর্মী আজাদ আলী খানকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সেলিম খান বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৎকালীন যুবলীগ-ছাত্রলীগের মোট ১০ জনকে আসামী করা হয়।

আসামীরা হল, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, সুনীল দে, মফিজুর রহমান দুলু, সুরজিত বড়ুয়া, উৎপল কুমার চৌধুরী, ইফতেখার, জাফর উল্লাহ, শাহনেওয়াজ, হুমায়ন কবির ও হাফিজুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন।

পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ছিলেন। চট্টগ্রামে রেলওয়ের টেন্ডারবাজি নিয়ে গোলাগুলিতে শিশুসহ দু’জন নিহতের জেরে বাবরকে বহিস্কার করা হয়।

২০১৩ সালের ২৪ জুন বেলা পৌনে ১২টার দিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দেড় কোটি টাকার টেন্ডারকে কেন্দ্র করে নগরীর সিআরবি এলাকার সাত রাস্তার মোড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ দু’জন নিহত হয়। নিহতরা হল, সাজু পালিত (২৮) ও আরমান হোসেন (৮)।

যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লিমনের ক্যাডারদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পুলিশ বাবর ও লিমনসহ এ মামলার ৫২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এছাড়া ঘটনার পর সাইফুল আলম লিমনকে ছাত্রলীগ থেকে এবং বাবরকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বাবর ও লিমনসহ প্রায় সব আসামিই জামিনে মুক্তি পান।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top