সকল মেনু

ওমর ফারুক জীবনের কবিতা

সারি সারি ঘুমন্ত দিয়াশলাইয়ের সিথানে বিন্দু বিন্দু বারুদ;
বারুদ বালিশে জেগে আছে টকটকে লাল গোলাপ স্তন,

অপরূপ আগুন

পকেটে একবাক্স বারুদের দাউ দাউ নিয়ে,
আমি আজ ধ্বংসের পথে বেরিয়ে গেলাম হে গোলাপ।

কয়েকগুচ্ছ পঙক্তিমালা

(ক) আবেগের নদী কি জানে, দু’ফোটা অশ্রুর গতিবেগ
(খ) একদিন কবি আর লিখবে না, শুধু ভাবনার জেরক্স থেকে ছেপে আসবে কবিতা
(গ) একটি মুখ ও বাচনভঙ্গির কাছে এসে থেমে যায় সব কবিতা
(ঘ) আসন্ন সন্ধ্যার শীত নামছে, থরথর কাঁপছে গুটিসুটি আগুন
(ঙ) জ্যোৎস্নার ধারে কেটে কেটে আঁধার ইস্পাত, রাত্রি সুরক্ষিত সিন্দুকে ঢুকে পড়েছে গ্রীলকাটা চাঁদ

বিরহিণী সন্ধ্যা

তখনো সন্ধ্যার চিবুকে বিকেলের লাজুক আভা;
কথকতা শেষে পড়ে এলে রোদ,
নিভে আসে কবোষ্ণ দিনের প্রান্তসীমায়
পড়ে আসে সন্ধ্যার পলকদিগন্ত,
আহা! চঞ্চুতে সুখ গেঁথে তিল হয়ে ফিরে যায় পাখি,
জরিন আকাশে ঝাঁক বেধে ফুটে জুঁই,
স্তনের মত ভেসে উঠে সন্ধ্যার চাঁদ,
জানি না, সে কী বিবস না জ্যোৎস্না,
না হেমন্তের সোনঝরা ধান রং কন্যা?
দেহের ভাঁজে ভাঁজে হাঁক দেয় নদী,
ডাক দেয় মাঝি, তীরে তীরে মাছের মিথুন,
গুটিসুটি ঘাঁটে কলরব করে উঠে জল,
আহা! দূরে-কাছে জড়সড় গ্রামে
চন্দ্রস্তন থেকে ঝরে অবিরল ধারায় জ্যোৎস্নার দুধ,
মাঝরাতে উঠে নামে বিরহিনী সন্ধ্যার শ্বাঁস!
অঙ্গ বিভঙ্গে নেচে উঠে ধ্রুপদি নাচ,
তবে আজ রক্তাক্ত হয়ে যাক সুর,
ভেসে যাক সুরের রক্তে আনুষ্কার সেতার।

 

সম্পাদনায় / জীবন

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top