সকল মেনু

নেতৃবৃন্দ ব্লাক বল দিয়েছে

মেহেদি হাসান,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: আগামী ২৩ নভেম্বর রোববার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিক ফোরাম। সদ্য ঘোষিত সদস্যদের তালিকা বাতিল করে ঘোষিত নির্বাচনের সিডিউল প্রত্যাহার এবং অপেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য বাতিল ও নতুন করে আবার সদস্য
পদের তালিকা প্রকাশ করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য বঞ্চিত গণমাধ্যম কর্মীরা বুধবার সকালে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন সমাবেশের সভাপতি ডিইউজের সাবেক সহ-সভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তী। এ সমাবেশের আয়োজন করেন প্রেসক্লাব সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিক ফোরাম।
প্রধান বক্তা জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান বলেন, ক’দিন আগে ১৭১ জন নুতন সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। এখানে আমাদের  নেতৃবৃন্দ ব্লাক বল দিয়েছে। কিন্তু ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট ব্লাক বল লিপিবদ্ধ করেনি। নিয়ম অনুযায়ী ক্লাবের কোনো সদস্য যদি নতুন সদস্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্লাক বল বা নো অব ডিসিন্ট দেয় তাহলে ওই তালিকার কেউ সদস্য হতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, শিডিউল দেওয়ার পর সদস্যপদ দেয়া যাবে না এটা ভাওতাবাজী । প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কোন সৎ উদ্দেশ্যের জন্যে প্রেসক্লাব সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারে ।গঠনতন্ত্র মেনে সদস্যপদ দেওয়া না হলে আমরা নির্বাচন করতে দিব না। ক্লাবের একটি ঐতিহ্য আছে। এটি রাজাকারদের ক্লাব নয়। তাই পেশাদার সাংবাদিকরা সদস্য পদ না পেলেও বিএনপির চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার সদস্য পদ পায়। পেশাদারি সাংবাদিকদের যদি সদস্য পদ না দেওয়া হয় তাহলে ক্লাব ভাঙ্গবেই, ভাঙ্গবেই। যেমন ডিআরইউ, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন গঠন
হলেও আমরা তা ঠেকাতে পারেনি। ঢাক সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাশংশের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সদস্য হওয়ার জন্য আমরা ১৪৮ জনের নাম দিয়েছিলাম। তাদের একজনেরও যোগ্যতার দিক থেকে নাম কাটার মতো নয়। তারা সবাই ২০ থেকে ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পর্ণ সাংবাদিক। কিন্তু ক্লাব কতৃপক্ষ পেশাদার  সাংবাদিকদের সদস্য না করে অপেশাদারদের সদস্য করেছে। এ সময় তিনি প্রতিবছর নতুন সদস্য পদ দেওয়ার দাবি জানান।
ডিইউজের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ১৭১ জনের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে কিছু পেশাদার সাংবাদিক থাকলেও বেশির ভাগ অপেশাদার সাংবাদিক। তিনি তালিকা বাতিল করে পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রচার সম্পাদক রফিক আহম্মেদ বলেন, প্রয়োজনে প্রেসক্লাব দুই ভাগ করা হবে। পেশাদার সাংবাদিকরা সদস্যপদ পাবেন না, আর অপেশাদাররা সদস্যপদ পাবেন, এটা মেনে নেয়া হবে না
নির্বাহী সদস্য অমিয় ঘটক পুলক বলেন, প্রেসক্লাব জামায়াত-বিএনপির কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এখানে কবি শামসুর রাহমানের মতো ব্যক্তি সদস্য হতে  পারেন না। অথচ যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লারা সদস্যপদ পান।
মানবকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অবিলম্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ করে প্রকৃত সকল সাংবাদিককে নতুন সদস্যপদ দিতে হবে। দৈনিক জনতার রিপোর্টার জাহাঙ্গীর খান বাবু বলেন, দ্রুত প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। না হলে আমরা প্রেসক্লাবের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবো।
ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান মিঞার সঞ্চালনায় সমাবেশে আর ‍উপস্থিত ছিলেন, ডিইউজের জণকল্যান মেহেদি হাসান, সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য শারমিন রহমান সুমা, ভি-নিউজ সম্পাদক জয়ন্ত আচার্য, হটনিউজ২৪বিডি.কম’র সম্পাদক, আছাদুজ্জামান, সমীরণ রায়, কাঞ্চন কুমার দে  প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top