সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীর ও বঙ্গবন্ধু ছবি ভাঙচুর করল আ.লীগ

  শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবাল রাত ৮টার দিকে শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শরীয়তপুর উপজেলা শ্রমিক লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চুর বেপারির সমর্থকরা। এ কার্যালয়টি জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি নুরুল আমিন কোতোয়ালের সমর্থক সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আলী মাতবর নিয়ন্ত্রণ করতেন।

এ সময় সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আলী মাতবরের ভাই অপু মাতবরসহ চার জন আহত হন। হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আলী মাতবর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাচ্চু বেপারির লোকজন ওপর হামলা চালায়। এতে সেখানে রণক্ষেত্র তৈরি হয়।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে গিয়ে ৭০ থেকে ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হোসেন সরদারসহ চার জনকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি নুরুল আমিন কোতোয়াল বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে সুষ্ঠু রাজনীতি করতে চাই। শহরে ইকবাল হোসেন অপু নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী বাহিনী তা করতে দিচ্ছে না। এর আগেও তারা আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। মঙ্গলবার অপু মিয়ার উপস্থিতিতেই বাচ্চু বেপারিসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

তবে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু বেপারি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। বাচ্চুর বেপারিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসার জন্য ফোনে চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শরীয়তপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আমরা ৭০ থেকে ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top