সকল মেনু

মরণোত্তর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চক্ষুদান

নিজস্ব   প্রতিবেদক : মরণোত্তর চক্ষু দান করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতিতে মরণোত্তর কর্নিয়া দানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন তারা। শুধু তারাই নন, মরণোত্তর কর্নিয়া দানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, অভিনেত্রী সারা যাকের, সুবর্ণা মুস্তাফা, কণ্ঠশিল্পী মেহরীন ও কৃষ্ণকলিসহ ৩৬ হাজার ২১১ জন।

এ প্রসঙ্গে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. আলী আসগর মোড়ল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু নিজের চক্ষু দানের পাশাপাশি নীলক্ষেতে আমাদের তিন কাঠা জমিও দিয়েছেন। যেখানে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি গড়ে উঠেছে। সমিতির উদ্বোধন করতে এসে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, কর্নিয়াজনিত অন্ধের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে করে আমাদের সচেতনতা দরকার। চক্ষুদানের মাধ্যমে দুটি মানুষ চোখের আলো ফিরে পায়। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি সমাজের সবাইকে চক্ষুদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এতে করে সে মানুষটি যাতে মনে করে আমি মরে যাওয়ার পরেও আমার চোখ দুটি বেঁচে থাকে। ¯্রষ্টা মানুষকে কৃত্রিম কর্নিয়া সৃষ্টির সামর্থ দেননি। মৃত ব্যক্তির কর্নিয়াই একমাত্র ভরসা। প্রতিটি ধর্মেই কর্নিয়া দানকে সমর্থন করে।

ডা. আলী আসগর মোড়ল আরো বলেন, মরণোত্তর কর্নিয়া দানের অনেকে প্রতিশ্রুতি করলেও বেওয়ারিশ লাশের কর্নিয়াতেই চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন বেশি মানুষ। অপরদিকে প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশে অঙ্গীকারনামা থেকে মরণোত্তর কর্নিয়া পাওয়া গেছে মাত্র ৫১ জনের কাছ থেকে ১০২টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রয়াত ভাষামতিন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top