সকল মেনু

বোরোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করেও দাম কমের অজুহাতে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল দেননি চালকলের মালিকরা। ফলে বোরোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬১ হাজার টন কম চাল সংগ্রহ হয়। গত ২৭ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি চলিত মৌসুমে প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে  তিন লাখ মেট্রিক টন আমন চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে আমন সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

১৫ নভেম্বর থেকে আমন সংগ্রহের কথা থাকলেও এখনো মিলারদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারেনি খাদ্য অধিদফতর। তবে খাদ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট বিভাগের দাবি আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালকল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হবে।এরপর যথাসময়ে আমন সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে।

খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. তোফাজ্জল হোসেন   বলেন,  বোরো মৌসুমে যেসব চালকল মালিক চুক্তি করেও চাল দেননি, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা  নেওয়া হয়েছে। দুই হাজার চালকল মালিককে দুই বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আমন মৌসুমেও যেসব চালকল মালিক চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চালকল মালিকদের সঙ্গে আমন সংগ্রহের চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বোরো সংগ্রহ সন্তোষজনক হয়েছে। বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ টন। সংগ্রহ হয়েছে ১০ লাখ ৬১ হাজার টন। বর্তমানে চালের মজুদ রয়েছে ১১ লাখ ৪০ হাজার ২৭ টন। গম মজুদ রয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার ২৩২ টন। সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫৯ টন খাদ্য মজুদ রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এ বছরে প্রতি কেজি আমন ধানের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ টাকা। ১৫ শতাংশ মুনাফা ধরে ধানের মূল্য ২০ টাকা ৭০ পয়সা এবং চালের উৎপাদন ব্যয় ২৮ টাকা। গত বছর ধানের উৎপাদন খরচ ছিল ১৭ টাকা দুই পয়সা ও চালের ২৫ টাকা ৪২ পয়সা।

জৈব সার, শ্রমের মজুরি (পারিবারিক ও ভাড়াকৃত শ্রম), জমি তৈরি বাবদ খরচ, সেচ ও ধান থেকে চাল করার মিলিং খরচ (সিদ্ধ ও পরিবহণসহ) বিবেচনায় নিয়ে চলিত অর্থ বছরের আমনের উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে দেশে এক কোটি ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৩১২ টন আমন ধান উৎপাদিত হয়েছে। চলতি বছর ৫২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে এক কোটি ২৯ লাখ ৯৬ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরোর পর আমনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফসল। সরকার প্রতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে আমন চাল সংগ্রহ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top