সকল মেনু

প্রথম ফালুই ফোন করেন ফায়ার সার্ভিসে

  নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) ভবনের ১১ তলায় অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্র্ভিসে প্রথম ফোন করেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু। এনটিভি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছিল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির নিজস্ব উদ্যোগে সংবাদকর্মীদের দুই ধাপে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রথম কর্মশালা। কর্মশালায় এনটিভির ১৬জন প্রতিবেদকসহ প্রডাকশন বিভাগের কয়েকজন সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ক্লাশ নিচ্ছিলেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। এ সময় ভবনের ৮তলায় নিজস্ব চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু। এনটিভির নিজস্ব উদ্যোগে আরেকটি কর্মশালা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

সূত্র আরো জানায়, নভেম্বর ২০১৩ সাল থেকে একই ভবনে অবস্থিত আরটিভির মালিকানা কাগজে-কলমে বুঝে পেয়েছেন ফালু। কিন্তু তিনি এখনো ওই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানা বাস্তবে বুঝে পাননি।

এদিকে ২০০৭ সালে বিএসইসি ভবনে আগুন লাগার পরে এনটিভি অফিস স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন  কর্তৃপক্ষ। এফডিসির পাশে অবস্থিত নিজস্ব ভবন গ্রীন ইনে তা স্থানান্তরের কথা হচ্ছিল বলে সূত্র জানায়।

ফায়ার সর্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। বেলা ১টা ৫৬ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান।

এনটিভি, আরটিভি, আমার দেশ এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে ওই ভবনে।

২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এই ভবনে আগুন লেগে এনটিভি, আরটিভি ও আমার দেশসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পুড়ে যায়, মৃত্যু হয় তিন জনের।

অগ্নি নির্বাপক কর্মী এবং ওই ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১১ তলায় আমার দেশের একটি গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে আজ ছুটির দিন হওয়ায় ওই ভবনের বেশিরভাগ কার্যালয় বন্ধ ছিল। কিন্তু গণমাধ্যম কার্যালয়গুলোতে সাধারণত সবসময়ই কর্মীরা থাকেন।  আগুন লাগার পরপরই ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নেমে আসেন বলে উপস্থিত কর্মীরা জানান।

দৈনিক আমার দেশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে আমার দেশ অফিসের কার্যালয় নিকেতনে শিফট করার কথা ছিল। এ কারণে নিউজ রুমের কেউ সকালে অফিসে ছিলেন না। এ ব্যাপারে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) ভবন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এ ভবনে ভাড়া বাবদ আমার দেশ পত্রিকার কাছে কয়েক কোটি পাওনা রয়েছে বিএসইসির।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্র্মীরা। এ সময়

এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আলী ফালু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বারবারই এ ভবনে আগুন লাগে, আর আমি বারবারই ক্ষতিগ্রস্ত হই। তদন্ত হয়, কিন্তু রিপোর্ট পাই না। তদন্ত কি হয় তা জানা যায় না। বার বার এ ভবনে আগুন লাগে কেন তা জানা দরকার। আমি সকলের দোয়া চাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমার দেশ পত্রিকার এক কর্মচারী জানান,  অফিস পরিবর্তনের জন্য কয়েকটা  এসি ও চেয়ার লিফটে করে নামানো হয়। আরো মালামাল নামানোর প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় উত্তর-পূর্ব দিকের স্টোর রূমে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। স্টোর রূম তালাবন্ধ ছিল। চাবি দিয়ে খুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন তারা। তারপর ভবন থেকে নেমে পড়েন।
অন্যদিকে আগুন নেভানোর কাজ চলার সময়ই  বিএসইসি ভবনের নিচে এসে পৌঁছান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় ২০০৭ সালে এ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, তার প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখব। এখন আমার জানা নেই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top