সকল মেনু

ডিসেম্বরে ঘুচছে রেলমন্ত্রীর নিঃসঙ্গতা

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: গলায় সোনালী জরির কাজ করা লাল উত্তরীয়। গায়ে সোনালী পাঞ্জাবি। বর বেশে অতিথি ঘেরা মঞ্চে বসে আছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। আজ তার গায়ে হলুদ।বেশি বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও হাস্যরসে যেন কোন অংশেই পিছিয়ে নেই সাতষট্টি বছর বয়সী এই ‘যুবক’। কনে হনুফা আক্তার রিক্তা (২৯) আলাদা একটি মঞ্চে বসা, মুখে লাজুক হাসি। কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বললেন, “আমি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কাছে গতকালও দোয়া নিয়ে এসেছি।

তিনি আমাকে দোয়া করেছেন যাতে বিয়ের সব অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে হয়।” “আমার নেত্রী দোয়া করার পর দলীয় নেতারা সবাই খুশি, দেশবাসীও খুশি, এর কারণ দেশের মানুষ আমাকে স্নেহ ও মমতা করে।” পাত্রপাত্রী দুজনেরই বাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে শুক্রবার বিয়ের জন্য আয়োজন চলছে পুরোদমে। হলুদ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা হবু স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে একসঙ্গে করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের পরিবার ও রিক্তাদের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একসঙ্গে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”

“রিক্তা এসেছে তার পরিবার নিয়ে একটি মঞ্চে বসেছে, আমি আমার আত্মীয় স্বজন নিয়ে আরেকটি মঞ্চে বসেছি।” এর আগে বুধবার দুপুর ১টার দিকে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হন বর রেলমন্ত্রী। কনে হনুফা আক্তার রিক্তাও ততক্ষণে চলে এসেছেন। পরনে হলুদ শাড়ি আর ফুলের গহনা। বর-কনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে আলাদা মঞ্চ। বর ও কনের নাম লিখে বড় আকারের দুইটি কেকও ছিল মঞ্চের সামনে। আয়োজন করা হয়েছে প্রায় ৫০০ জনের দুপুরের খাবার। রেলমন্ত্রীর নিজের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।

আর পাত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা কুমিল্লার চান্দিনার মেয়ে। মুজিবুল হক আগেই জানিয়েছেন, পাত্রী মাস্টার্স পাস, তার সঙ্গে পরিচয় বছর তিনেক আগে। সেই সূত্রেই বিয়ে। ২০০০ সালে এসএসসি পাস করা রিক্তার আইনের ডিগ্রিও আছে। বিয়ের পর বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর শুক্রবার। অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের এলডি হলে। এছাড়া ১৬ নভেম্বর কুমিল্লায় নিজের এলাকায় আলাদাভাবে বধূ বরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালের ৩১ মে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুজিবুল।

১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। কুমিল্লা-১১ আসন থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। শেখ হাসিনার গত সরকারের শেষ দিকে ২০১২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এবারও রেলপথের দায়িত্ব তাকেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top