সকল মেনু

পদ্মার পাড়ে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

 রাজশাহীঅফিস: বিভাগীয় শহর রাজশাহী। শত শত বছর ধরে নানা ইতিহাস আর ঐতিহ্যেকে ধারণ ও লালন করছে এই শহর। রাজশাহী শহরের গা ঘেঁষে যাওয়া এক সময়কার প্রমত্তা পদ্মা আজ মৃতপ্রায়। নদীর বুকে চর জেগে আজ কাশফুলের সমাহার। দেখলে বোঝার উপায় নেই এই নদী এক সময় প্রমত্তা ছিল। পদ্মার বুকে খরস্রােতা জোয়ার না থাকলেও গেল এক সপ্তাহ ধরে এ শহরে বইছে ফুটবলের জোয়ার। এ জোয়ার খানিক সময়ের জন্য হলেও দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব ফেলবে রাহশাহীর ফুটবলের ওপর। এ অঞ্চলের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় রাজশাহী আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে আজ বিকেল ৩টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ফুটবল দল। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইন। এ ছাড়া চলতি ধারাবিবরণী শোনা যাবে বাংলাদেশ বেতারে। দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে এসেছে শ্রীলঙ্কা জাতীয় ফুটবল দল। প্রথম প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে রাজশাহী ও দেশবাসীকে আনন্দ উপহার দিতে চান মামুনুলরা। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা দল আগের ম্যাচের মতো ড্র প্রত্যাশা করছে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৮টিতে। শ্রীলঙ্কা ৩টিতে। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। আজ চৌদ্দতম ম্যাচে কে হাসবে বিজয়ের হাসি? সেটা সময়ই বলে দেবে।

কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলের পরিসংখ্যান বলছে ঘরের মাঠে গেল তিন বছরেও বেশি সময় ধরে জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১১ সালে লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল মামুনুলরা।  এই জয়ের খরা কাটাতে মরিয়া বাংলাদেশ দল।

মামুনুল বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে জাতীয় দল দেশের মাটিতে জয় পায় না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার দারুণ একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। এই ম্যাচে জয় ভিন্ন অন্য কিছু চিন্তা করছি না। আমাদের লক্ষ্য জয়। আগের ম্যাচে যশোরবাসী ও দেশবাসীকে যেটা দিতে পারিনি সেটা এখানে দেওয়ার চেষ্টা করব। তিন বছর পর ঘরের মাঠে জয় তুলে নিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে চাই।’

বাংলাদেশ দলে খুব একটা ইনজুরি সমস্যা নেই। নেই শ্রীলঙ্কা দলেও। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দল আজও অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে জয় তুলে নিতে দলে পরিবর্তন আনতেও পারেন বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু।

পদ্মার পাড়ে এক জমজমাট ফুটবলের লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় রাজশাহীবাসী। এই ম্যাচ উপভোগ করতে ইতিমধ্যে ২২ হাজার দর্শক গাটের টাকা খরচ করে টিকিট কেটেছে। ইউরোপের অনেক ম্যাচে কখনো কখনো এতো দর্শক উপস্থিত হয় না। সিলেট, যশোর ও রাজশাহীতে এতো দর্শকের উপস্থিতিই প্রমাণ করে বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা এখনো ফুরিয়ে যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top