সকল মেনু

তিনি শিক্ষক ছিলেন কিন্তু তার কথা মিথ্যাচারে ভরা- হানিফ

আছাদুজ্জামান,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেছেন, তিনি শিক্ষক ছিলেন কিন্তু তার কথা মিথ্যাচারে ভরা।আমরা তাকে জানিয়ে দিতে চাই, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কথা বলার আগে একবার ভেবে নিবেন।আপনার নেত্রী খালেদা জিয়ার চেহারার দিকে তাকিয়ে নিবেন।হতাশা কাটিয়ে ওঠার জন্য ভবিষ্যতে এই ধরনের অযুক্তিক কথা বলার সুযোগ পাবেন না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ভেবে-চিন্তে কথা বলতে বললনে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এধরণের কথা বলার সুযোগ থাকবে না বলেো হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাবেক দুই বারের প্রধানমন্ত্রী কতটা হতাশা ও মুর্খ হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফটোসেশন করছেন এই কথা বলতে পারেন।একটা দেশকে একটা দেশ স্বীকৃতি দেয়।কিন্ত একটি নির্বাচিত সরকারকে কোন দেশ স্বীকৃতি দিতে হবে কতটা দেউলিয়া হলে এই ধরণে কথা বলতে পারেন। এই সরকারের যদি বৈধতা না থাকে তবে জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন।বিভিন্ন দেশ তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের এসেছেন।এছাড়া, এই দশম সংসদের নির্বাচিত এমপিদের মধ্য থেকে একাই সময়ে দুইজন ‘সিপিএ’ এবং ‘আইপিও’র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।কোন রাষ্ট্রে এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি এটা বাংলাদেশের জন্য একটিন ইতিহাস।মির্জা ফখরুল এবং খালেদা জিয়া কতটা মুর্খ হলে এমন কথা বলতে পারেন।

বিএনপির সাংগঠনিক শাক্তি নেই।দলছুট নেতাদের নিয়ে এই দলটি গঠিত হয়েছে।নিজেদের অবস্থা নাজুক হওয়ায় নিজেদের মধ্যে মারা-মারি করছে।তাদের জোটের বিশ দল থেকেও অনেকে বের হয়ে গেছে।এই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই।অথচ ফখরুল সাহেব এখানে অর্বাচিনের কি পেলেন তা আমার বোধগম্য নয়।

সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরব না খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, তিনি কি বক্তব্য শেষ করে ঢাকায় ফিরে বাসায় উঠেছেন? নাকি হোটেলে বা রাস্তায় থেকেছেন? যদিও তার হোটেলে উঠার অভ্যাস আছে ।হোটেলের দরজা ভেঙ্গে বের করা হয়েছিল ।এ ব্যাপারে আমরা কথা বলতে চাই না।ভবিষ্যতে চিন্তা ভাবনা করে কথা বলে তার মান মর্যাদা রাখবেন বলে আমরা আশা করি।

হরতাল সম্পর্কে তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও এ নিয়ে আর কথা থাকেনা।তার পরও একাত্তরের পেতাত্মাদের ইন্ধনে ইসলামী দলগুলো দেশে অস্থীতিশীর পরিবেশ সৃষ্টি করতেই এই হরতাল যেকেছে।জনগণ তাদের এই হরতালে সাড়া দেয়নি। সারাদেশে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল।এইজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

সভায় ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে একদিনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় ও দেশের সকল কার্যলয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো ব্যাজ ধারণ।৭টায় ৩২ বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতীর পিতার প্রতিকৃতিতে ফল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ৮টায় বনানী কবর স্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন ও দোয়া মাহফিল, বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা।এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সভাপাতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জাম ভূইয়া ডাবলু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ,আওয়ামী লীগ কেন্দীয় কমিটির সহ-সম্পাদক তাজমহল হিরক, সফেদ আশফাক তুহিন,আ ন ম হারুণ-অর রশীদ,,সুশান্ত কুমার বাইন সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে নেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top