সকল মেনু

কষ্টার্জিত টিএসসি দখল করে ছাত্রলীগের ব্যবসা

 জবি করেসপন্ডেন্ট: এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে একমাত্র ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের (টিএসসি) জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া জায়গাটি দখল করে শীতকালীন কাপড়ের ব্যবসা শুরু করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। আর এর মূলে রয়েছে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে রিকশা গ্যারেজ সরিয়ে বাঁশ আর ত্রিপল দিয়ে সামিয়ানা টানানো হচ্ছে জায়গাটিতে। আর এর জন্য সদরঘাট নৌকা-মাঝি শ্রমিক লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল মিঠুর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা অগ্রীম নেয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, সমবায় ব্যাংকের নামে ইজারা দেয়া জায়গাটি চলতি বছরের ৫ মার্চ দখল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বঘোষিত টিএসসি গড়ে তোলে। তখন এই টিএসসিকে শেখ রাসেল মিলনায়তন ঘোষণা দেয় হল উদ্ধার আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম ও হল উদ্ধার আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব ও জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম। সেই রক্ষকই ভক্ষক সেজেছে বলে একাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অভিযোগ করেন। সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০ অক্টোবর জবি ছাত্রীহলের জায়গায় অবৈধ রিকশা গ্যারেজ তুলে দেয়ার পর জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে টিএসসির জায়গায় রিকশা গ্যারেজ গড়ে তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড মো. সেলিম। শনিবার টাকার বিনিময়ে জাবেদ ইকবাল মিঠুর জন্য জায়গাটি বরাদ্দ দেয়ায় রিকশা গ্যারেজ উঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ।

এ প্রসঙ্গে সদরঘাট নৌকা-মাঝি শ্রমিক লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল  বলেন, ‘গরিবদের মাঝে স্বল্প মূল্যে কাপড় বিক্রি করার জন্য জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে এ জায়গাটিতে ব্যবসা করতে বলেন। সমবায় নেতা মনিরসহ আমরা এখানে খণ্ডকালীন শীতবস্ত্র বিতরণের কাজ করবো।’

এ ব্যাপারে জানতে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

তবে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরীফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সাবেক প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন মাহী এসব কাজ করছে। আমি বেঁচে থাকতে এই জায়গায় কোনো অবৈধ কিছু করতে দিবো না। হল উদ্ধার আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক থাকার সময়ে এটি দখল করা হয়েছে। আমরা কালই (রোববার) এই সব কিছু উচ্ছেদ করবো।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top