সকল মেনু

আলোচিত দশ ঘটনা মেরিলিনের

  বিনোদন ডেস্ক : ইতোমধ্যে মৃত্যুর ৫০ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আজও মেরিলিন মনরো ভক্তদের হৃদয়ে রয়ে গেছেন চিরসবুজ ‘বিউটি আইকন’ হিসেবে। মেরিলিন মনরোর জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা নিয়ে আমাদের আজকের এ রচনা।

অপ্রত্যাশিত সন্তান : ১৯২৬ সালের ১লা জুন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম হয় মনরোর। তার আসল নাম ছিল নরমা জিন মর্টেনসন। বিয়ের পূর্বেই জন্ম হওয়ায় মনরোকে প্রতিপালন করতে চাননি মনরোর মা। তাই বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে থেকে বড় হতে হয় মনরোকে। ফলশ্রুতিতে মাত্র ১৬ বছর বয়সে জোর করে বিয়ে দেয়া হয় তাকে। বিয়ের কয়েক বছর পর অবশ্য বিবাহ বিচ্ছেদ করেছিলেন এ তারকা অভিনেত্রী।

কর্মজীবনের শুরু : ৪০-এর দশকে একটি অস্ত্র কারখানায় কাজ শুরু করেছিলেন মনরো। ১৯৪৫ সালে সেখানে এক সেনা আলোকচিত্রী তাকে সামরিক পত্রিকার প্রচ্ছদের মডেল হওয়ার প্রস্তাব দেন। সাত পাঁচ না ভেবেই স্বচ্ছন্দে তাতে রাজি হন মনরো। এরপরে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি তাকে। মডেল হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। মনরোর চুলের রং ছিল বাদামি এবং তা বেশ কোঁকড়ানোও ছিল। সেটা বদলে সোনালি এবং সোজা করেন তিনি। আর তখন থেকেই তার নতুন নাম হয় মেরিলিন মনরো।

ক্যালেন্ডার কেলেঙ্কারি : নিজের শরীরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে  ভালোভাবেই জানতেন মনরো। ১৯৬২ সালে একটি ক্যালেন্ডারে তার নগ্ন ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই এটা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কিছু পড়িনি তা ঠিক নয়, তবে একটি রেডিও তো ধরেছিলাম আমি।’

শুভ জন্মদিন মিস্টার প্রেসিডেন্ট : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির সঙ্গে মেরিলিনের খুব ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়। তবে এ তথ্য সত্য কিনা  তার প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে মেরিলিন গানের মাধ্যমে  প্রেসিডেন্ট এফ কেনেডিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।

মিষ্টি এবং দুর্দান্ত আকর্ষণীয় : আকর্ষণীয় চেহারা তার সঙ্গে প্রতিভার যোগ– এভাবেই মনরোকে দেখানো হয়েছিল ‘হাউ টু ম্যারি আ মিলিওনেয়ার’ সিনেমাতে। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমায় মেরিলিনকে একবার যারা দেখেছেন, আজীবন মনে রেখেছেন তাকে।

মন্ত্রমুগ্ধ করার ক্ষমতা : ১৯৪৭ সালে ‘টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি-ফক্স’ স্টুডিও-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন  মেরিলিন মনরো। এরপর ১৯৪৯ সালে তিনি আবারো মডেলিং জগতে ফিরে আসেন। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় তার বিখ্যাত ছবি ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’। এছাড়া ‘হাউ টু মেরি আ মিলিওনিয়ার’, ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে তিনি বিশ্বকে এক কথায় ‘মন্ত্রমুগ্ধ’ করেন।

সংগীতশিল্পী মেরিলিন : মেরিলিন মনরোর গাওয়া কিছু গান আজও অবিস্মরণীয় হয়ে আছে সবার মাঝে। ‘আই ওয়ানা বি লাভড বাই ইউ’, ‘ডায়মন্ডস আর আ গার্লস বেস্ট ফ্রেন্ডস’ সহ বেশ কয়েকটি গান গেয়ে তিনি বিশ্বব্যপী খ্যাতি পেয়েছিলেন।

হলিউডের আইকন : হলিউড অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো খুব অল্প সময়েই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এ জন্য হলিউডের সুপারস্টার হিসেবে খ্যাতিও পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে অনেক অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী তাকে অনুকরণ করতে শুরু করেন। পপ মিউজিক তারকা লেডি গাগা এমনকি ম্যাডোনার মতো তারকারাও তাকে ‘সেক্স সিম্বল’ হিসেবে তাদের আদর্শ মডেল মনে করেন।

ওহ দুষ্টু বাতাস : ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’ মুভির দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল দুষ্টু বাতাসের কারণে মনরোর পরিহিত স্কারট উড়ে যাচ্ছিল এবং তিনি তা ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন। তার এ দৃশ্য কোটি ভক্তের মনে তৈরি করেছিল আলোড়ন। এ ছবির কারণে তৎকালীন স্বামী ক্রীড়াবিদ জো দিম্যাজিও-র সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় মনরোর।

চিরবিদায় : মেরিলিন তার সংক্ষিপ্ত জীবনে তিন তিনবার বিয়ে করেন। তৃতীয়বার মার্কিন  কাহিনীকার আর্থার মিলারকে বিয়ে করেন তিনি। এ বিয়েতে বেশ সুখী হয়েছিলেন মনরো। কিন্তু সে সুখ বেশিদিন টেকেনি তার। ১৯৬২ সালের ৫ই আগস্ট মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top