সকল মেনু

ফুল গাছ কাটালেন সদর উপজেলার সহকারি ভুমি কমিশনার

  বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ শহরবাসীর একমাত্র পয়নিস্কাষনের স্থান কাটাখাল হৃদ। এই্ কাটাখালের পাশে একসময় সরকারি জমি দখল করে বহুতলভবন সহ গড়ে উঠেছিলো নানান স্থাপনা। ২০০১ সালে সরকার কাটাখাল পুর্নখনন করে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখলদারদের উচ্ছেদ করে। পরে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে শুরু করে পিটিআই মোড় পর্যন্ত কাটাখালের দু’পাশে বসার আসন এবং সরু সড়ক নির্মান করে। পরবর্তীতে কাটাখালের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কার্যক্রম স্থমিত হয়ে গেলে আবার বেড়ে যায় দখলদারদের দৌরাত্ব। পুনরায় শুরু হয় কাটাখালের পাশে সরকারি জমি দখলের প্রতিযোগীতা। ইতিমধ্যে রেলগেট থেকে শুরু করে ইলিয়টব্রীজে পর্যন্ত কাটাখালের পাশের সরকারি জমি দখল করে বিল্ডিং মার্কেট,হোটেল এমনকি বসতবাড়ীও তৈরি করা হয়েছে। সাথে সাথে বাশের চেগারের বেড়া দিয়ে বানিজ্যিকভাবে সবজী চাষও করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কে কাটাখালকে রাক্ষা এবং সরকারি জমি দখলকারি ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কার্যকরি ভুমিকা রাখতে দেখা যায়নী। কাটাখালের দু’পাশে চলাচলের সড়ক থাকলেও নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ফলে কাটাখালের এই অন্ধকার পথে শুরু হয়েছে মাদকের অন্ধরাজত্ব। নোংরা আর আর্বজনায় এমনি অবস্থা শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদলেনের কাটাখালের পাশ দিয়ে চলাচল করাই দুঃসাধ্য এবং অনিরাপদ হয়ে গিয়ে ছিলো । মুক্তিযোদ্ধা সংসদলেনের কাটাখালের পাশে গড়ে উঠা ফুলবাগান এবং এর দৃষ্টিনন্দন গোলঘড় দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ শহর বাসীকে আকৃষ্ট করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গোশালা মহল্লারর ফরিদুজ্জামান স্ব উদ্যেগে  মুক্তিযোদ্ধা সংসদলেনের কাটাখালের দু’পাশ পরিস্কার পরিছন্ন করে সেখানে ফলজ,বনজ ঔষধীএবং বিশেসকরে ফুলের গাছ লাগিয়ে ছিলেন। এবং সেখানে আলোর ব্যবস্থাকরার কারনে রাত্রীর বেলা পুরো এলাকাটি আলোকিত হয়ে থাকতো যার কারনে ছিনতাই এবং মাদকের উপদ্রব এই এলাকায় অনেকটাই কমে গিয়েছিলো। বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারি কমিশনার (ভুমি) জেবুন নাহার সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে মুক্তিযোদ্ধা লেনের পাশে ৩ বছরের পুরানো ফুলেরবাগান এর অনেকগুলো গাছ কেটে দেয় , দুষ্টিনন্দন গোলঘড়টি ভেঙ্গে দেয় এবং পাশেই ফরিদুজ্জামানের বৃক্ষরোপনের জন্য দেয়া বাশের তৈরি চেগারের বেড়াগুলো ভেঙ্গে লাল নিশানা লাগিয়ে দিয়ে যায়। এসময় সদর উপজেলা ভুমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত ছিলো। হঠাৎ করে শুধুমাত্র কাটাখালের পাশে ফুলের বাগান এবং চেগাড়ের বেড়া ভেঙ্গে লাল নিশান লাগালেও লাল নিশানের পাশে এবং ঐ বাগানের আশে পাশে কাটাখালের সরকারি জায়গায় একধিক চেগারের বেড়া এবং বাগান থাকলেও সেগুলোকে উচ্ছেদ না করার কারনে জনমনে দখো দিয়েছে নানান প্রশ্ন। অনেকে বলছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদলেনের কাটাখালের ব্রীজের উত্তর পাশে যে স্থানে লাল নিশান লাগানো হয়েছে তার আনেকদুর পর্যন্ত সরকারি জমি কিন্তু সেই স্থানে লাল নিশান লাগাতে গেলে অন্য বাগান উচ্ছেদ করতে হবে সে জন্যই নিশান এই ভাবে লাগান হয়েছে। পরিবেশরক্ষাপকারি বৃক্ষকে অবৈধ স্খাপনার মধ্যে ফেলে ফুলের গাছ কাটা হলো  কিন্তু বিল্ডিং বা অন্য কোন স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলে বলে কেউ কেউ মনে করছেন সহকারি ভুমি কমিশনার উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অথবা কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেছেন। এই ব্যাপারে ফরিদুজ্জামান জানান পৌর মেয়রের মৌখিক অনুমতি নিয়েই কাটাখালের পাশে বৃক্ষরোপন করেছি এবং নিয়মিত তার পরিচর্যা করছি,আমি জানি সরকারি জায়গায় গাছলাগানো যায় কিন্তু সেই গাছ কাটার ক্ষমতা সাধারন জনগণের থাকে না তার পরেও পরিবেশ রক্ষায় আমি এই কাজ করছি। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযানে আমি অবাক হয়েছি । তবে এই উচ্ছেদের বিষয়টি  জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে অবগত করেছি।
হঠাৎ কাটাখালের পাশে সরকারি জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্পর্কে  সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারি ভুমি কমিশনার জেবুন নাহারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি রেগে জান এবং এই বিষয়ে কথা বলতে চাননা,কিছুক্ষন পর তিনি বলেন তারা গাছলাগানোর নামে সরকারি জমি দখলের প্রায়তারা করছে,আবার বলেন এই জায়গা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবসী দাবী করেছেন, তার পরে তিনি বলেন সরকারি জমি উদ্ধারের নিয়মিত অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে সর্বশেষ তিনি বলেন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সবখানে উদ্ধার অভিযান না চালিয়ে কেন একটি মাত্র বাগানে অভিযান চালানো হলো এই বিষয়ে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নি।
কাটাখালের সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে হঠাৎ ভুমি কমিশনারের  এই উদ্যেগের কারন সকলের কাছে অজানাই থেকে গেলো। রয়েগেলো প্রশ্ন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top