সকল মেনু

‘ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব ’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘শুধু ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে সামাজিক দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব না। তাই সরকার কাজের বিনিময়ে খাদ্য, একটি বাড়ি একটি খামারসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর ফলে মানুষ দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষমতা অর্জন করছে।’

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা’ শীর্ষক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্য বিমোচনে ঐতিহাসিক হাতিয়ার। যা সমাজে নারীর ক্ষমতায়নেও ভূমিকা রাখছে। এ ক্ষেত্রে পিকেএসএফ ও ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্স (আইএনএফ) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে।’

সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ খলনায়ক নয় বরং গরীবের রক্ষাকর্তা। এটি বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখছে। ২০২১ সালে অতিদারিদ্র্য নির্মূল করে দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে দেশ রক্ষা করব আমরা। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।’

বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ গরিব মানুষকে এক ধরনের অস্তিত্ব দিয়েছে। সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহামুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষকে ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ করে দেওয়া হবে।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য, একটি বাড়ি একটি খামারসহ বিভিন্ন প্রকল্পে সরকার মানুষের কাছ থেকে কোনো সুদ গ্রহণ করছে না। তাই এসব প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। আর এসব কাজে সরকার আন্তরিক বলেই এমডিজি পুরস্কার অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’

ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্স, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top