সকল মেনু

রেমিটেন্স আহরণে পিছিয়ে বিশেষায়িত ব্যাংক

 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক,ঢাকাঃ রেমিটেন্স অর্জনে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন সরকারের বিশেষায়িত ব্যাংকেগুলোর বেহাল দশা চোখে পড়ার মতো। আর এ দিকে তেমন কোনো নজরই নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে বিশেষায়িত চারটি ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেপমেন্ট ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর মধ্যে দুটি ব্যাংকে কোনো রেমিটেন্স আসে না। অন্যদিকে বাকি দুটিতেও যে রেমিটেন্স আসছে তাও উল্লেখযোগ্য নয়। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে কোনো রেমিটেন্স আসে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে দেশে রেমিটেন্স আসে ১২৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর মধ্যে মাত্র ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসে বিশেষায়িত চার ব্যাংকে। জুন মাসে আসা বিশেষায়িত ব্যাংকে আসা রেমিটেন্সের প্রায় পুরোটাই আসে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে। মাত্র দেড় লাখ ডলার আসে বেসিক ব্যাংকে। আর বাকি দুটি ব্যাংকে কোনো রেমিটেন্স আসেনি।

জুলাই মাসে বিশেষায়িত ৪ ব্যাংকে রেমিটেন্স এসেছে ১৭ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার।

আগস্ট মাসে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে রেমিটেন্সের পরিমাণ কমে যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের আহরণের পরিমাণ ছিলো এক কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার ডলার। আগস্ট মাসে বেসিক ব্যাংকে রেমিটেন্স এসেছে মাত্র ১ লাখ ডলার।  অথচ পুরো আগস্টে বাংলাদেশে রেমিটেন্স আসে ১১৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

একই ধারায় সেপ্টেম্বর মাসেও রেমিটেন্স এর খাতা খুলতে পারেনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও রাকাব। তারপরও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো রেমিটেন্স আহরণে তেমন নজর দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এসব বিষয়ে দেশের বিশেষায়িত ব্যাংক বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) খন্দকার মো. ইকবাল এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। কথা বলা সম্ভব হয়নি রাকাব এমডি’র সঙ্গেও।

বেসিক ব্যাংকের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, বিশেষয়িত ব্যাংকের বিষয়ে দুর্নীতি ইস্যু গণমাধ্যমের মাধ্যমে এমনভাবে ছড়িয়ে গিয়েছে যে মানুষ এখন আর আস্থা রাখতে পারছে না। তাছাড়া অনিয়ম ঠিক করতেই ব্যস্ত বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বিশেষায়িত ব্যাংকে যত সামান্য রেমিটেন্স আসা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র ম মাহফুজুর রহমান বলেন, রেমিটেন্স বিদেশ থেকে পাঠাতে গ্রাহকদের যে পরিমাণ সেবা দরকার তা বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো হয়তো দিতে পারছে না। যদি তা পারতো তাহলে গ্রাহকরা অবশ্যই রেমিটেন্স পাঠাতো। তাদের উচিত এসব বিয়ে নজর দেয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top