সকল মেনু

হাম হাম জলপ্রপাতে পর্যটকদের ঢল

 এম শাহজাহান আহমদ, মৌলভীবাজার:পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হাম হাম জলপ্রপাত, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিস্তম্ভ সহ পর্যটকপ্রিয় স্থানগুলো দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নৈসর্গের অপরূপ এ প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে ছুটে এসেছিলেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার লোকজন। ঈদের দিন সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় সামলাতে পর্যটন সহায়ক পুলিশ ও টুরিষ্ট গাইডের সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে। কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও নয়নাভিরাম মাধবপুর লেকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পর্যটকদের মিলন মেলা বসেছিল। কমলগঞ্জের চা বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী, মাধবপুর লেক, দলই সীমান্তে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিস্তম্ভ দেখার পাশাপাশি পর্যটকরা মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের চেয়েও অপরুপ সুন্দর হামহাম জলপ্রপাত দেখতে সেখানে ভিড় করেন পর্যটকেরা। ঈদের ছুটিতে চট্রগ্রাম থেকে স্বপরিবারে লাউয়াছড়ায় বেড়াতে আসা পর্যটক চাকুরীজীবি রাসেল আহমদ, সিলেটের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন, আশফাক আহমদ, গৃহিনী তানিয়া আক্তার, কলেজ ছাত্রী হেপী বেগম জানান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অপরূপ প্রকৃতির অপরুপ নান্দনিক দৃশ্য দেখে তারা মুগ্ধ করেছে। গহীন অরণ্যে বেড়াতে তারা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্ধ্য বোধ করেন। নয়নাভিরাম মাধবপুর লেকে বেড়াতে আসা বি-বাড়িয়ার স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, গৃহিনী তাসলিমা বেগম, ব্যবসায়ী আবু তালেব, কলেজ ছাত্রী শামীমা আক্তার বলেন, মাধবপুর লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক অনন্তভূমি। বার বার এখানে ফিরে আসতে মন চায়। এখানের পাহাড়গুলো খুবই সুন্দর। পাহাড়ে বসার ব্যবস্থা থাকলে আরো ভাল হত। মৌলভীবাজারের কলেজ ছাত্র রাজিব মিয়া জানান, কমলগঞ্জ থেকে মাধবপুর লেইকে আসার রাস্তাটি খুব খারাপ। রাস্তা সংস্কার করলে এই মনোরম লেইকে পর্যটক বাড়বে। সুনামগঞ্জের স্কুল শিক্ষক আ স ম দানিয়াল, স্কুল শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিীকি বলেন, এ লেকটিকে ঘিরে বিনোদনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হবে অন্যদিকে পর্যটকের কাছে আরো আকর্ষনীয় হবে । বার বার মন ফিরে আসতে চায় স্বর্গের নিবাসে।  লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মনজুর আহমদ মান্না সমকালকে জানান, পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে গত ৪দিনে লাউয়াছড়ায় টিকেট খাতে আয় হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা সহ পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকলে পর্যটন শিল্পে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে চলে যাবে বলে অভিজ্ঞমহলের অভিমত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top