সকল মেনু

মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর পক্ষে ভারতের আদালত

  ডেস্ক রিপোর্ট : মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর পক্ষে ভারতের আদালত। সে মতে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বৈধ বয়স ১৮ থেকে বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। যা বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানোর চিন্তার ঠিক বিপরীত।খুব অল্প বয়সেই মেয়েরা বাড়ির অমতে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে নিচ্ছে। কয়েক বছর বাদেই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে, এমন দৃষ্টান্তে দৃষ্টি দিয়েই আদালতের এমন সুপারিশ। আর এমনটা রুখতেই বিচারপতি এস মণিকুমার ও বিচারপতি ভিএস রবিকে নিয়ে গঠিত মাদ্রাজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মেয়েদের বিয়ের আইনি বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। বিচারপতিদের প্রশ্ন, ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স ২১-এ বেঁধে দেওয়া আর মেয়েদের বেলায় তা ১৮। কিন্তু ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তো ছেলে, মেয়ে উভয়েই তো স্কুলের আবহাওয়ায়  বড় হতে থাকে। তাহলে  কী করে ১৮ বছরে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বেশি পরিণত বলে ধরে নেওয়া হবে? তাই ১৮৭৫ সালের ভারতীয় সংখ্যাগুরু আইন ও শিশুবিবাহ রোধ আইনে কিছু অদলবদলের সুপারিশ করেছে বেঞ্চ । যাতে মেয়ের ন্যূনতম বিয়ের বয়স কী হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে সমাধান পাওয়া সম্ভব হয়। বিচারপতিরা হিন্দু আইনের উল্লেখ করেন, যাতে ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বৈধ বয়স ২১ বছর ধরার কথা বলা হয়েছে। বিচারপতিদের বক্তব্য, তাহলে একথা কি বলা যায় যে, ১৮ বছরে পা দিলেই মেয়েরা সামাজিক  ও মানসিক দিক থেকে বিয়ের যোগ্য হয়ে ওঠে, তাদের মধ্যে সেই মানসিক পরিপক্কতা চলে আসে? এরপরই বর্তমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করতে বসেন বিচারপতিরা। তারা বলেন, গুচ্ছ গুচ্ছ হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন হাইকোর্টে নথিভুক্ত হচ্ছে, যাতে বলা হচ্ছে ১৮ বছর হলেই মেয়েরা পছন্দের ছেলের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে।তারা একজন সন্তান নিয়ে অভিভাবকদের ভূমিকার কথা ব্যাখা করে বলেন, তাদের যন্ত্রণা-দুঃখ এটাই যে, পরিপূর্ণ  মানসিক বিকাশ হতে না হতেই ছেলে বা মেয়েরা নিজেদের ভবিষ্যত রাস্তা বেছে  নিয়ে ঘোরের বশে বিয়ে করে বসে।এমনটা যাতে না হয়, সেজন্যই মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স বাড়ানো উচিত। ছেলেদের মতো মেয়েদের বিয়ের বয়সও ২১-এ বা ১৮-র ওপর বেঁধে দেওয়া হোক, চায় আদালত।

সূত্র : ইন্টারনেট

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top