সকল মেনু

রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঈদে প্রস্তুত

  আফিফা জামান,ঢাকা: ঈদে নির্মল আনন্দ দিতে দর্শনার্থীদের জন্য নতুন করে সেজেছে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এরই মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো পরিস্কার করে ঝকঝকে তকতকে করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের আগমনের জন্য সবচেয়ে বড় বিনোদন কেন্দ্র ঢাকা চিড়িয়াখানা, শিশুদের জন্য ঢাকা শিশুপার্ক ও শিশুমেলা প্রস্তুত। এবার ঈদের আগেই চালু হয়েছে বিমান বাহিনী জাদুঘর। এই জাদুঘর বিনোদনের বাড়তি খোরাক যোগাবে রাজধানীর দর্শনার্থীদের। বিনোদেন কেন্দ্রগুলোতে নিয়মতি আয়োজনের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা যাতে নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এনায়েত হোসেন   জানিয়েছেন, নতুন কোনো প্রাণী না আসলেও বিভিন্ন প্রাণীর বাচ্চাগুলোই হবে এবারের বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ। দর্শনার্থীদের আকর্ষণে ধুয়ে-মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে এই বিনোদন উদ্যান। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ১১৭ প্রজাতির ১ হাজার ৬০০ প্রাণী রয়েছে বলে জানিয়েছেন এনায়েত হোসেন। ঈদের সময় প্রতিদিন অন্তত এক লাখ করে দর্শনার্থীর আগমন আশা করছেন তিনি।

এনায়েত হোসেন জানান, বড় বড় প্রাণীর পাশাপাশি জিরাফের একটি বাচ্চা ছাড়াও ২০টি অজগর সাপের ছানা, ওয়ার্ল্ড বিস্ট, তিনপালা, কুমির ছানা এবার চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ।

চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের হকারের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব-পুলিশকে অনুরোধ করা ছাড়াও চিড়িয়াখানার নিজস্ব অনাসার বাহিনী ও কর্মী কাজ করবে।

ঈদের সময় চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন এক লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটানোরে টার্গেট করেছে কর্তৃপক্ষ।

শিশুদের বিনোদনের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র ঢাকা শিশুপার্ক প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও ঈদ উপলক্ষ্যে টানা পাঁচদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

৮ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে ১৩টি রাইডের প্রতিটির জন্য ছয় টাকা ফি দিতে হবে বলে জানান শিশুপার্কের সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান।

শিশুপার্কে উড়ন্ত বিমান, উড়ন্ত নবযান, ব্যাটারি কার, লম্পঝম্প, এফ সেভেন, ঝুলন্ত চেয়ার, আনন্দ ঘুর্ণি, ফ্লাওয়ার কার, বিষ্ময় চক্র- এমন সব রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগ করবে শিশুরা।

প্রতিদিন ৬০/৭০ হাজার দর্শনার্থীর আশা করছে শিশুপার্ক কর্তৃপক্ষ।

শাহবাগের এই শিশুপার্কের পাশাপাশি শ্যামলীর শিশুমেলাতেও ভিড় জমে শিশুদের।

মেরী গো রাউন্ড, চুকচুক ট্রেন, হ্যানি সুইর, সোয়ান অ্যাডভেনচার, প্যারাট্রপার, টোয়িস্ট্, ব্যাটারি কার, হেলিকপ্টার কার্নার, ভাইকিং বোট, ভিডিও গেমস্, বাউসি ক্যাসল, বাম্পারকার, ড্রাডান রোলার, ওয়ান্ডার হুইল, স্পেইস শাইল, ক্রেসি  ড্যান্স, মিনি ট্রেনসহ শিশুমেলার রাইডগুলো শিশুদের দখলে থাকবে ঈদের সপ্তাহজুড়ে।

রাইড ছাড়াও এখানে আছে কৃত্রিম পাহাড়। ছোট ছোট  সিঁড়ি বেড়ে উঠতে হয় পাহাড়ের র্শীষে, পাহাড়ের উপরে ঝর্ণাধারা ও একটি বিশাল আকৃতির ড্রাগন।

এবার ঈদের আকর্ষণ আগারগাঁওয়ে বিমান বাহিনীর জাদুঘর।

১৯টি এয়ারক্রাফট, ২টি হেলিকপ্টার এবং তিনটি রাডার নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করা এই জাদুঘর ঈদের সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দেখার পাশাপাশি ‘বলাকা’ বিমানে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে উঠতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

এছাড়াও পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লা, বুড়িগঙ্গা পাড়ের আহসান মঞ্জিলসহ বাংলার তাজমহল বিনোদনপ্রেমীদের আনন্দের উৎস হয়ে থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top