সকল মেনু

মোছলেমারা এভাবেই আড়ালে থেকে যান

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: রাজধানীর আদাবরের রিং রোড-২ এর জনতা কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটির ৩৭ নম্বর বাসা। রাত প্রায় ১২ টা। পুলিশের কনস্টেবলরা অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির গেটের সামনে। ভেতরেও আছেন পুলিশের দুইজন সদস্য।

বাসাটির ছয় তলার বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদের বাসার গৃহপরিচারিকা মোছলেমা ছয় তলা থেকে লাফ দিয়েছেন বলে জানান অবস্থানরত পুলিশ কর্মকর্তারা।

সাংবাদিক শোনার পর গেট খুলে দিলেন দারোয়ান। ওপরে উঠতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তারা এগিয়ে আসেন। ওপরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন তাই ভেতরে যাওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

পুলিশের এক কনস্টেবল জানান, সে লাফ  দিয়েছে নাকি কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে মোছলেমাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা খবর থানা থেকেই পাবেন। কিন্তু আমাদের ওপরের নির্দেশনা আছে যাতে কাউকে ভেতরে ঢুকতে না দেওয়া হয়।

এবার মোছলেমাকে খুজতেই ছুটে চলা ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের দিকে। জরুরি বিভাগে মোছলেমা নামের কোনো তরুণী বা আদাবর এলাকা থেকে কোনো রোগী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আসেনি বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতরা।

অবশেষে আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)  মিজানুর রহমান হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, ঘটনাটি ঠিক। খবর পেয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিসের লোক গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয় রফিক নামের একজন জানান, মোস্তাক সাহেব একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তার বাসায় মোছলেমা ও তার বোন কাজ করতো। মোছলেমার বোন এখনো ভেতরেই আছে। আমরা আগে শুনেছি যে, মোস্তাক সাহেবের স্ত্রী ও মেয়েরা মোছলেমা ও তার বোনকে মারধর করতো। ছয় তলার সানসেট থেকে লাফ দেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তাও পুলিশের তদন্ত করা উচিত। কারণ একটি মেয়ে কী করে ছয় তলার সানসেটে উঠবে!

কিন্তু রাত তিনটে পর্যন্ত মোছলেমা কোথায় আছে তা নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এভাবেই মোছলেমারা সমাজ থেকে আড়ালেই থেকে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top