সকল মেনু

স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি থাকছে জাল টাকা ধরার মেশিন

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগরীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে চলছে নানা প্রস্তুতি। সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। হাটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য গাবতলী পশুর হাটে থাকছে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও ১৪টি জাল টাকা ধরার মেশিন। এছাড়া ইনজেকশনের মাধ্যমে মোটাতাজা করা পশু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও থাকবে বিশেষ মেডিকেল টিম। জাল টাকা শনাক্তের জন্য হাট কর্তৃপক্ষ ১০টি মেশিন রাখবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক নিজ উদ্যোগে আরো চারটি মেশিন রাখবে। শুক্রবার গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি ছুটির দিন হওয়াতেও ক্রেতার সংখ্যা কম। স্থায়ী হাট হওয়ার কারণে কসাইরাও পশু কিনছেন। হাতেগোনা কিছু ক্রেতা কোরবানির পশু দেখতে এসেছেন। এবারও কোরবানির পশু ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে বলে জানা গেছে। তবে ভারত সীমান্ত খুলে দিলে কোরবানির পশুর দাম কমে যাবে বলে জানান বিক্রেতারা। বিক্রেতারা আরও বলছেন, ৩ অক্টোবর থেকে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হবে। তবে এখন যারা আসছেন অনেকে দেখতে আসছেন। এছাড়া হাটে গরু উঠানামা করার জন্য বিট তৈরির পাশাপাশি হাটের প্রবেশ পথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কংক্রিটের সড়ক তৈরি করে দিয়েছে।

মেডিকেল টিম

ইনজেকশনের মাধ্যমে মোটাতাজা করা পশু যাতে বিক্রি না হয় সেজন্য চিকিৎসকদের বিশেষ একটি টিম সবসময় থাকবে হাটে। এই টিম সন্দেহভাজন গরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

নদী পথে পুলিশি টহল ও র‌্যাব ক্যাম্প

গাবতলী হাট সংলগ্ন তুরাগ নদীতে পুলিশের একটি টহল টিম সার্বক্ষণিক টহল দেবে। তুরাগ নদী দিয়ে গাবতলীর হাটে কেউ যেন কোনো অপকর্ম না করতে পারে সেজন্য তুরাগ নদীতে টহল দেবে পুলিশ। হাটের প্রবেশদ্বারে ৠাবের ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। হাটের মধ্যে হাসিল ঘর ও হাট সংলগ্ন দ্বীপ নগরেও পযার্প্ত ৠাব ও পুলিশ থাকবে।

হাট কর্তৃপক্ষের ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী

৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবী গাবতলী হাটের মধ্যে দায়িত্বপালন করবে। যাতে করে হাটের মধ্যে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা যায়।

হাসিল খরচা শতকরা ৫ টাকা

২ অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত হাট কর্তৃপক্ষ শতকরা ৫ টাকা হাসিল খরচা নির্ধারণ করেছে। তবে অন্যান্য সময় হাসিল খরচা শতকরা সাড়ে তিন টাকা।

গাবতলী গবাদী পশুর হাটের পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আমাদের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। হাটের নিরাপত্তার স্বার্থে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার বসানে হবে। এছাড়া জাল টাকা ধরার জন্য ১৪টি মেশিন বসানো হবে।’

‘কেউ যাতে ইনজেকশনের মাধ্যমে মোটাতাজা করা গরু বিক্রি না করতে পারে সেজন্য  একটি মেডিকেল টিম থাকবে। তারা সন্দেহভাজন গরুর পরীক্ষা-নিরিক্ষা করবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top