সকল মেনু

নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

 নিউইয়র্ক থেকে,মনিরুজ্জামান: জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ১৭ মিনিট) নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি। রোববার রাত নয়টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে দুবাইয়ে আড়াই ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এমিরেটসের ইকে-৫৮৫ ফ্লাইটটি পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুব‍াই এয়ারপোর্টে পৌনে দুই ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে উড়োজাহাজটি। নিউইয়র্ক পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ম্যানহাটানের হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতের পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি এই হোটেলেই সফরসঙ্গীদের নিয়ে অবস্থান করবেন।  এর আগে রোববার রাতে শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আইজি, তিন বাহিনীর প্রধ‍ান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তওফিক ইমাম, অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীপু মণি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, সিনিয়র সচিব, প্রেসসচিব, পররাষ্ট্র সচিব, নৌ, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও শ্রমসচিবসহ, উচ্চ পর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিকগণ ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে (সাইডলাইনে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কাতারের আমীর তামিম বিন মোহাম্মদ আল থানি, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী মিস এরনা সলবার্গ, বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিয়াসনিকোভিচ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান এবং ২৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ছাড়ার পর ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর লন্ডনে ২ দিনের যাত্রাবিরতি করে ২ অক্টোবর সকালে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top