সকল মেনু

দপ্তরী পদে নিয়োগ পরীক্ষার অফিস থেকে পরীক্ষার নর্থী গায়েব

 সিরাজুল ইসলাম মল্লিক (ঝিনাইদহ): ঝিনইদহের মহেশপুর উপজেলার লেবুতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী জুয়েল মিয়াকে নিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের লুকোচুরি খেলা। এমন কি লেবুতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষার কোন কাগজ পত্রই উপজেলা  শিক্ষা অফিসে রাখা হয়নি। এ অভিযোগ মহেশপুর উপজেলা সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। লেবুতলা গ্রামের জনৈক এক শিক্ষক জানান,গত ১৮ মে মহেশপুর উপজেলার লেবুতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় জুয়েল মিয়া ১৮নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। নাহিদুল ইসলাম ১৬ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে,মনিরুল ইসলাম ১৪ নম্বর,তৌহিদুর রহমান ১৩ নম্বর পান। যাতে নিয়োগ বোর্ডের ৩ কর্মকর্তা সাক্ষর রয়েছে। অভিযোগ মহেশপুর উপজেলা সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম গোপন চুক্তির মাধ্যমে অফিসে এসে নিয়োগ পরীক্ষার ফলা ফল পরিবর্তন করে অফিস থেকে নিয়োগ পরীক্ষার সব কাগজ পত্র ছিড়ে ফেলেছেন। লেবুতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান জানান, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই আমাদের দিয়ে রেজাল্ড সিটে সই করে নেই জুয়েলের ভাইরা । পরে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এর থেকে আমার আর কিছুই যানা নেই। বর্তমান ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও সাবেক মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলামের সাথে তার মুঠো ফোনে (০১৭৭০-৩৩৯৬৩৬) যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান,লেবুতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষার কোন কাগজ পত্রই উপজেলা  শিক্ষা অফিসে রাখা হয়নি। আমার আগে যে ছিলেন তিনিই বলতে পারবেনলেবুতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষার নথী গুলো কোথায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top