সকল মেনু

গোপালগঞ্জের চাষিরা পাট নিয়ে বিপাকে

   গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়া বিপাকে পড়েছেন গোপালগঞ্জের পাটচাষিরা। লাভ না হওয়ায় আগামী বছর পাট চাষ করবেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। এদিকে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে পাট আবাদ হয়েছে।  উৎপাদনও হয়েছে কম। দেশের উন্নতমানের পাট উৎপাদিত এলাকাগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা অন্যতম। পোকর আক্রমণে এ বছর পাটের উৎপাদন ভালো হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বাজারে প্রতি মণ পাট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে পাট বিক্রি করলে খরচ উঠবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার পাট চাষের  লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৩৭৭ হেক্টর জমিতে দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৮ বেল পাট উৎপাদন। কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২২ হাজার ২ হেক্টর জমিতে এক লাখ ৫৩ হাজার ৯৮০ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে।

গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮৮ হেক্টর জমিতে দুই লাখ ২৬ হাজার ২৯৬ বেল। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছিল।

জেলার পাট চাষি ফারুক মোল্যা বলেন, পাট চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। আবার নানা রকম পোকার আক্রমণে উৎপাদন ভালো হয়নি। তারপরও দাম কম। প্রতি মণ পাট যদি দুই হাজার টাকা করে বিক্রি করা যেত তাহলে কিছুটা লাভ থাকত।

পাটচাষি মোশারফ বলেন, তিন বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে তা উঠবে বলে মনে হয় না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অতুল কৃষ্ণ রায় জানিয়েছেন, এবার বীজে কিছু সমস্যা ছিল। বীজ ডিলাররা অনেকেই নতুন বীজের সঙ্গে কিছু পুরোনো বীজ চালিয়ে দিয়েছেন, যার প্রেক্ষিতে গাছগুলোও ছোট-বড় হয়েছে। এ ছাড়া সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়াতে চারা অবস্থাতেই গাছে পোঁকার আক্রমণ ঘটে। যার ফলে এবারে পাটের ফলন কমে গেছে। তবে ভালো বীজ সরবরাহ করা গেলে আগামীতে ফলন বাড়বে,বাজারে কৃষকরা পাটের ভালো দামও পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top