সকল মেনু

বিয়ে নিয়ে তাড়া নেই বিপাশার

  বিনোদন ডেস্ক : কয়েকদিন আগে হারম্যান বায়েজের সঙ্গে আংটি বদল করে বিয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিপাশা বসু। তবে মত বদলে ফেলেছেন এই বাঙালি সুন্দরী। বলছেন ক্যারিয়ারেই মনোযোগ ধরে রাখতে চান। তাই বিয়ের জন্য কোনো তাড়াহুড়ো নেই তার। এখন বিপাশার বয়স ৩৫। তবে এখন শুধু কাজ, বিয়ের ফুল পরে ফুটুক! এমনটাই তার ভাবনা। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে  বিপাশা বলেছেন, বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানকে শ্রদ্ধা করি, মর্যাদা দিই। কিন্তু বিয়ের সময় এখনো আসেনি আমার। সময় পড়ে আছে। সময় হলে ‘আরাম সে’ বিয়েটা সেরে ফেলব। কিন্তু এখন হাতে ছবি রয়েছে। তা ছাড়া অভিনয়ের বাইরেও আরও কিছু কাজ আছে, যা করতে চাই। তবে সেসব নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। বিপাশা অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘ক্রিয়েচার থ্রি ডি’ কেমন সাড়া ফেলে বক্স অফিসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। তার আগের মুক্তি পাওয়া শেষ দুটি ছবি আত্মা ও হামসকলস তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তাই সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি নিয়ে খানিকটা উদ্বেগে রয়েছেন তিনি।
আত্মা-র ব্যর্থতার রেশ মনে রয়ে গিয়েছে তার। হামসকলস-এর প্রোমোশন-প্রচার অভিযান থেকে দূরেই সরে ছিলেন বিপাশা।

তার কথায়, আত্মা দাগ কাটতে না পারায় আঘাত পেয়েছিলাম। আমার মনে হয়, ছবিটাকে ঠিকঠাক প্রোমোট করা হয়নি। আসলে ওই ছবিতে আমাকে মায়ের চরিত্রে দেখতে তৈরি ছিলেন না দর্শকরা, পরে সাধারণ দর্শকদের কাছ থেকে এমনই ফিডব্যাক পেয়েছি। তবে ছবিটা করার জন্য আমার কোনো দুঃখ নেই। কিন্তু হামসকলস শুরু থেকেই যন্ত্রণার ব্যাপার। এর স্টোরি আইডিয়াটাই আমার জানা ছিল না। কোন ভূমিকায় কাজ করছি, কী করে সেটাকে ফুটিয়ে তুলব, কী দাঁড়াবে, সেটাই জানতাম না। কাজেই ছবিটার ব্যাপারে, আমার রোল নিয়ে যেখানে কিছু জানি না, কেন তাহলে তাকে প্রোমোট করব?

২০০১-এ বলিউডে বিপাশা পা রাখেন আজনবি ছবি দিয়ে। তারপর জিসম, রাজ, কর্পোরেট, অপহরণ, ধুম-টু, লমহা, আক্রোশ, রেস-লম্বা দৌড় বিপাশার।
কিন্তু বলিউডে একের পর এক নতুন মুখের ছায়ায় কি ঢাকা পড়ে গিয়েছেন তিনি? তিনি কি দৌড়ে তাদের কাছে পিছিয়ে পড়েছেন? শঙ্কিত? এমন জল্পনা উড়িয়ে বিপাশার দাবি, তিনি নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। তার কথায়, নতুনদের সামনে এখন দর্শকদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে পায়ের তলায় জমি তৈরি করার লড়াই।

‘আমি তো জন অ্যাব্রাহাম, দিনো মারিয়া, রণবীর কাপুর, করণ গ্রোভারের মতো একঝাঁক নতুন মুখের বিপরীতে কাজ করেছি। সুতরাং নবাগতরা জায়গা কেড়ে নেবে, বিপদ বলে মনে করি না। আমি আজ ক্যারিয়ারে যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি, সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। এখনো এখানে রয়েছি। বিপাশা বসু আর কেউ হতে পারবেন না!’

বিপাশা জানাচ্ছেন, আগে তিনি ছবির সঙ্গে মানসিকভাবে জড়িয়ে পড়তেন, কেন ছবিটা বাজারে সাড়া ফেলতে পারল না, তা নিয়ে দিনের পর দিন ভাবতেন। কিন্তু এখন তা করেন না। তার নিজের কথায়, শুক্রবার যে কোনো অভিনেতার জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। তবে এগিয়ে চলাটাও তো জরুরি!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top