সকল মেনু

একে খন্দকারের বই বাজেয়াপ্ত চাইছেন আ’লীগ নেতারা

 আছাদুজ্জামান,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী, মুক্তিবাহীনির উপ প্রধান ও সেক্টর কমান্ডার একে খন্দকারের ‘১৯৭১: ভেতরে-বাইরে’ বইয়ের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতারা। তার বইয়ে বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণের শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন এমন বক্তব্য উদ্দেশ্যমুলক হতে পারে বলেও অনেকে সন্দেহ পোষণ করছেন। একে খন্দকারের বক্তব্যকে অসাংবিধানিকও বলেছেন কেউ। সদ্য সাবেক এই মন্ত্রী এই মুহূর্তে কেন তার বইয়ে এ ধরণের মন্তব্য করলেন সেটা অনুসন্ধান করে দেখা দরকার বলেও দলের নেতারা মনে করেন। পাশাপাশি এই বইটি বাজেয়াপ্ত করার উচিত বলে কেউ কেউ মন্তব্য করছেন। আবার কেউ কেউ এই বইয়ের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চান নি। এই নেতারা বলছেন, অনেকেই অনেক কথা বলেন, একে খন্দকারও হয় তো তাদের মতোই এ সব কথা বলেছেন। একে খন্দকার বলেছেন, নিজে উপস্থিত ছিলেন না, অন্যের কাছ থেকে শুনে লিখেছেন, তার সেই লেখা নিয়ে মন্তব্য করার কি আছে? এমন প্রশ্নও তোলেন একাধিক নেতা।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেকমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হটনিউজ২৪বিডি,কমকে বলেন, এ ধরণের বক্তব্য অসাংবিধানিক। তার বইয়ের এই বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা সেটা দেখতে হবে। আর যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তাহলে আমি মনে করি এই বইটি বাজারে থাকা উচিত না। এটি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একে খন্দকারের বইয়ের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সভাপতিম-লির সস্য কাজী জাফরুল্লাহ কোনো মন্তব্য করতে চাননি। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, সবার সব কথার জবাব দিতে হবে কেন। কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। বইটির বিষয়ে কথা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, আমি তখন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমি খুব কাছে থেকে শুনেছি।  আমি মঞ্চের পাশে ছিলাম। আমি জয় পাকিস্তান তো বলতে শুনিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার প্রস্তুতি ছিলো, কি ছিলো না সেটা কি তখন সবাই জানার কথা নয়। স্বাধীনতা প্রস্তুতি কি ছিলো সেটা জানতেন তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যারা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।  আরও জানতেন শেখ ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদের মতো নেতারা, বলেন কামরুল ইসলাম।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার প্রস্তুতি যদি নাই থাকতো তাহলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর পরই সর্বস্তরের মানুষ কিভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল? ভারত এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে যুদ্ধে সমর্থন দিয়ে পাশে দাঁড়ালো? প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top