সকল মেনু

১০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মামলায় পরবর্তী শুনানি

  নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে। বুধবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত এ আদেশ দেন। মামলা দুটি সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার করা একটি আবেদন আপিল বিভাগে অপেক্ষমাণ থাকায় আদালত এ আদেশ দেন। মামলা দুটির শুনানি পেছানোর জন্য বুধবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালতকে তারা জানান, যেহেতু আপিল বিভাগে এ বিষয়ে আবেদনের রায় অপেক্ষমাণ রয়েছে, সেহেতু সেই আবেদনের রায় না হওয়া পর্যন্ত এ মামলার শুনানি স্থগিত থাকা উচিত।  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বকশিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে যান খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছানোর পর মামলায় শুনানি শুরু হয়।

মামলা দুটি বিচারাধীন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়ের আদালতে। ঢাকা মহানগরের বকশিবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে এ বিচার চলছে।

খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন।

এর আগে মামলা দুটিতে গত ২৭ জুলাই আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে খালেদাকে আদালতে হাজির হতে মৌখিক নির্দেশ দেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর আট আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয় ।

ওই দিন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটির শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় ও বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। পরে এ মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা এবং অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। উভয় আবেদনই হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে আপিল বিভাগে এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top