সকল মেনু

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

 ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৮ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানি দ্রুত নেমে না যাওয়ায় প্রায় ৩ লাখ বানভাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে কোথাও থেকে নৌকা আসতে দেখলে কিংবা কোন শব্দ পেলেই বানভাসীরা  ছুটে দৌড়ে আসে। পানি বাহিত রোগ ও  দুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও জীবন রক্ষাকারী ঔষধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার চর ও দ্বীপ চরসহ অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার পানি বন্দী মানুষরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধসহ উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে গবাদি পশুসহ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ত্রান বিতরনের সমন্বয় না থাকায় ত্রান সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল সংখ্যক বানভাসী মানুষ এবং  ত্রান না পাওয়ায় ক্ষোভ জানান তারা। সড়ক ও হাট-বাজার গুলো তলিয়ে থাকায় খাদ্য, ঔষধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারছেন না কেউ।  স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সামান্য কমেছে নুন খাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ ত্রাণ স্বল্পতা নেই বলে জানান,ইতোমধ্যেই আমরা এ পর্যন্ত বন্যাদুর্গতদের জন্য ৮ শ মেট্রিক টন চাল এবং ১১ লাখ টাকা বিতরন করেছি।প্রয়োজনে আরও ত্রান দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top