সকল মেনু

পানিবন্দি লাখো মানুষ,বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

 ডেস্ক রিপোর্ট : টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও অস্বাভাবিক জোয়ারে সারা দেশে নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যায় বিভিন্ন জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। অনেক স্থানে সড়কপথ ডুবে গেছে, ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। নোয়াখালীতে ১০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, বগুড়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস নেমেছে, কুড়িগ্রামে বাঁধ ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যমুনা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্রসহ বড় নদ-নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নোয়াখালীতে পানিবন্দি লাখো মানুষ

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ও বেগমগঞ্জের উপকূলীয় এলাকা ও সেনবাগ উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ ১০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত একদিকে টানা বর্ষণ, অন্যদিকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পাশাপশি অতিরিক্ত পানি জমে ধানের জমি, মাছের খামার, পুকুর, আমন ধানের চারাসহ বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

পানিবন্দি এলাকাগুলো হলো- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চরকচ্ছপিয়া, দিয়ারা বালুয়া, গুচ্ছগ্রাম, মুছাপুর ইউনিয়নের জেলেপাড়া গ্রাম, চরহাজারী ইউনিয়নের মাছুয়াদোনা গ্রাম, চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রাম, চরএলাহী ইউনিয়নের চরন্যাংটা গ্রাম।

সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের মধ্য চরবাটা, পশ্চিম চরবাটা গ্রাম, পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের হাজীপুর, দক্ষিণ চরমজিদ, চরনঙ্গলীয়া গ্রাম, চরআমান উল্লা ইউনিয়নের চরআমান উল্লা গ্রাম, নয়াপাড়া, সাতাইশ দ্রোন গ্রাম, চরক্লার্ক ইউনিয়নের দক্ষিণ চরক্লার্ক, কেরামতপুর, পশ্চিম উরিরচর, চরবায়েজিদ গ্রাম ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর নোমান, উরিরচর, চরমোজাম্মেল, চরলক্ষ্মী ও চরখোন্দকার গ্রাম।

বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়র, শরীফপুর ইউনিয়ন ও কাদিরপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের দেবীসিংহপুর, বিষ্ণুপুর, গোবিন্দপুর ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর, বিরাহিমপুর, পঁচতুপা, মাতাববুর, চিলাদি, সোনাকান্দি, কেশারপাড়  ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী, খাজুরিয়া, কলাবাড়িয়া, কালারাইতা।

বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, পানিবন্দি মানুষ গত কয়েকদিন ধরে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। টানা বর্ষণ ও পানিবন্দির কারণে স্বাভাবিক চলাচলে চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন তারা। নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। হাট-বাজারের যেতে না পারায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ ও খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। শিশুরা বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বগুড়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের রৌহদহ এলাকার ১৪০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে গ্রামাঞ্চলে এখনো পানি প্রবেশ করেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম সরকার রাইজিংবিডিকে বলেন, রৌহদহ বাজারে নির্মিত বাঁধটি ধসে গেলেও তার পেছনে বিকল্প বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি জিও ব্যাগ (বালুর বস্তা) ফেলা হচ্ছে।  এই বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের সাতটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে।

এ ছাড়া সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটের চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে ২০ হাজার পরিবার।  ডুবে গেছে ২০০ হেক্টর জমিতে লাগানো আপৎকালীন ধান। এ ছাড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ডান তীরে কামালপুর থেকে দেবডাঙ্গা পর্যন্ত বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় আট কিলোমিটার হুমকির মুখে পড়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিল্লুর রহমান খান জানান, প্রতিদিন পানি বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১৩ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ তলিয়ে যাওয়ায় নতুন করে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও ভাঙনের মুখে পড়েছে বজরা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বালুর বস্তা ফেলে এলাকাবাসী ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

পানি বেড়ে ৯ উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী গ্রাম, চর ও দ্বীপ চরের ২৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ। বানভাসি মানুষগুলো কলাগাছের ভেলা, বাঁশের মাচা ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবার গবাদিপশুর সঙ্গে গাদাগাদি করে বাস করছে। দেখা দিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকার বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, ওষুধ ও খাদ্য সংকট। দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন জানান, বজরা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এটি নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ জানান, বন্যাদুর্গতের জন্য এক লাখ টাকা ও ১০৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা বিতরণ করা হচ্ছে।

তবে বন্যাদুর্গতদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দের কথা জানালেও গত চার দিনেও বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছায়নি।

শেরপুরে নিন্মাঞ্চলের ২৫ গ্রাম প্লাবিত
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নিন্মাঞ্চলে নেমে যাওয়ায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম  প্লাবিত হয়েছে। ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাধ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ৭ জুলাই ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পৌরসভার খালভাঙ্গা এলাকার ভোগাই নদীর দুটি অংশে ৩০০ মিটার বাধ কাম সড়ক ভেঙে যায়। এ ছাড়া গত ১৫ আগস্ট  ঢলের পানিতে চেল্লাখালি নদীর সন্নাসীভিটা এলাকায় নদীর বাধের ৫০ মিটার ভেঙে যায়। টানাবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এসব স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার কৃষক আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঘাঘটের বামতীরে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাধ ও সাঘাটায় বিআরই ক্রসবাধ ভাঙনের মুখে পড়েছে। মঙ্গলবার মুন্সিরহাট বিয়ারি বাঁধ সংলগ্ন উত্তর সাথালিয়া পয়েন্টে সিডিএমপি প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এতে সাঘাটার উত্তর ও দক্ষিণ সাথালিয়া, দীঘলকান্দি, গোবিন্দি, বাঁশহাটা, হাসিলকান্দি, হাটবাড়িসহ ৭ গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির ফসল, ভেসে গেছে জাগ দেওয়া পাট ও পুকুরের মাছ। ওই বাধটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর ফাটল দেখা দেয় মূল বিয়ারি বন্যানিয়ন্ত্রণ ক্রস বাঁধে। বুধবার সকাল থেকে ক্রসবাধটির এক তৃতীয়াংশ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বাধে আশ্রিত আতঙ্কিত লোকজন বসতবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে সরে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

এলাকায় গিয়ে জানা  গেছে, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে প্রবল চাপে মঙ্গলবার ক্রসবাধ সংলগ্ন সিডিএমপি বাঁধের প্রায় ১০০ গজ অংশ ভেঙ্গে গেছে। সেই সঙ্গে পানির তীব্র স্রোতে মূল বন্যানিয়ন্ত্রণ বাধে ফাটল দেখা দিয়েছে।

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। জামালপুর জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

যমুনার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বুধবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার  ৩৪ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইহারে বাড়ছে ব্র‏হ্মপুত্রসহ শাখা নদীগুলোর পানিও।

তিনদিনের বন্যায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার ১৫টি ইউনিয়নের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এসব এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন সড়ক বাধ ও স্কুলে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলার ৭৫টি শিক্ষা প্রতষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকায় কাজ, খাদ্য ও পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায়  জামালপুরের জেলা প্রশাসক  জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক করে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ।

লালমনিরহাটে তিস্তাপাড়ের নিমাঞ্চল প্লাবিত
ভারতে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা পাড়ের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়।

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে

জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বেড়ে বুধবার বেলা ১২টার দিকে শহর রক্ষা বাধ হার্ডপয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ৫০টি ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় শতাধিক হেক্টর আবাদি জমির ফসল।

শরীয়তপুরে ২০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বেড়ে প্রবল স্্েরাতে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে ঘর ও স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পদ্মার পানি বেড়ে প্রবল স্রোতে নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে জেলার নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা বাজারের ১০টি স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে। এ ছাড়া, ঘরিষার ইউনিয়নের সুরেশ্বর গ্রাম, কেদারপুর ইউনিয়নের সাহেবের চর, সাধুর বাজার, এলাকার ১০০ মিটার পাকা সড়কসহ প্রায় ২০টি বসতবাড়ির জায়গা বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে।

এ ছাড়া নীলফামারী, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুরসহ আরো কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top