সকল মেনু

খাদ্যশস্যের দাম কমছে বিশ্ববাজারে

 ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমছে। ২০১৩ সালের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই মাসে খাদ্যশস্যের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বা ৩৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট। আর জুন মাসের তুলনায় তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বা ১০ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমেছে। জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ৫৫টি খাদ্যপণ্যের মূল্য নিয়ে এফএওর এ সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, টানা চতুর্থ মাসের মতো সদ্য শেষ হওয়া মাসে গম, ভুট্টা, পাম তেল, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে। তবে এ সময়ে চিনি ও মাংসের দাম বেড়েছে। জুলাই মাসে বিশ্ব খাদ্য মূল্য সূচক ৪ দশমিক ৪ পয়েন্ট কমে ২০৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট হয়েছে। জুনের তুলনায় দাম কমেছে ২ শতাংশ।

এফএওর তথ্যানুযায়ী, উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো থাকায় আলোচিত খাদ্য পণ্যগুলোর দাম নিম্নমুখি হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এসব পণ্যের সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডেক্স বা বিশ্ব খাদ্য মূল্যসূচক ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে। তবে ভোক্তাদের জন্য সুখবরও শুনিয়েছে জাতিসংঘের এ সংস্থা। এফএওর পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ১০ বছরে বিশ্বে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদিত হবে। তাই খাদ্য মূল্যে বড় ধরনের উল্লম্ফনের কোনো আশঙ্কা নেই।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, জুলাই মাসে বিশ্ব খাদ্য মূল্যসূচক অবস্থান করছে ১৮৫ দশমিক ৪ পয়েন্টে। অন্যদিকে আগের মাসের তুলনায় জুলাই মাসে ভোজ্য তেলের সূচক ৭.৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮১ দশমিক ১ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকায় পর্যাপ্ত যোগান থাকায় পাম ও সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।

জুলাইতে দুগ্ধজাত খাবারের দামও কমেছে। এফএও জানিয়েছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষে ওই মাস ইসলামি রাষ্ট্রগুলোতে দুগ্ধপণ্য মাখনের ক্রয় কমে যাওয়ায় আমদানি চাহিদাও কমে যায়। ফলে এ দামের পতন হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম জুনের তুলনায় জুলাইতে ১ দশমিক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৯ দশমিক ১ পয়েন্টে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জুলাইতে চিনির মূল্যসূচক ২০ দশমিক ২ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top