সকল মেনু

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দুর্ঘটনা বাড়ছে হতাহত ১১ যাত্রী

 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর:  যাত্রীদের অসচেতনতা এবং চাঁদপুর নৌ-ট্রাফিক পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র উদাসীনতার কারণে চাঁদপুর মাদ্রাসা ঘাটস্থ বিকল্প লঞ্চঘাটে দুর্ঘটনা বাড়ছে। ঘটছে প্রাণহানি, অনেকে পঙ্গু হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ফাহিমা বেগম (২৫) নামের এক যাত্রীর। পঙ্গু হয়েছে মানিক (২৫) নামে আরেক যাত্রী। আহত আরো ১০ জন। বিশাল আকৃতির লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়তে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রী ওঠানামার সিঁড়িও বসানো যাচ্ছে না। তার উপর ট্রলারযোগে যাত্রী লঞ্চে ওঠানামার প্রবণতা তো রয়েছেই।  প্রতি বছরই চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং হতাহতও হচ্ছে। গত ২ আগস্ট বেলা ১২টায় লঞ্চে উঠতে গিয়ে এমভি আবে জমজম ও রফরফ লঞ্চের চাপায় পড়ে মানিক (২৫) নামের এক যুবকের এক পা থেতলে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি দেখে ডাক্তার ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। আহত মানিকের বাবার নাম আঃ মান্নান। সদর উপজেলার বহরিয়া শ্রীরামপুর গ্রমে বাড়ি। অকালে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে মানিককে। এ দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১০ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় লঞ্চঘাটের একই টার্মিনালে ভিড়ানো এমভি প্রিন্স অব রাসেল ও রফরফ লঞ্চের মাঝখানে নৌকা চাপায় ফাহিমা বেগম (২৫) নামে এক যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। স্বামী, ২ সন্তান সহ ট্রলারযোগে ঘাটে এসেছিল ঢাকা যাবার জন্য। তাদের বহনকারী নৌকাটি দুই লঞ্চের চাপার মধ্যে পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়। নিজের সন্তানকে লঞ্চ চাপা থেকে বাঁচাতে গিয়ে ফাহিমা নিজেই চাপা পড়ে নিহত হন। নৌকায় থাকা আরো ৫ যাত্রী কম-বেশি আহত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top