সকল মেনু

যশোর শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মান্নানের দাফন সম্পন্ন

 যশোর অফিস: রোববার বিকেলে যশোর শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবদুল মান্নানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গনে দলীয় নেতাকর্মীদের শেষশ্রদ্ধা নিবেদনের পর বেজপাড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে শহরে মিছিল করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এদিকে, মান্নান হত্যাকাণ্ডে-জড়িত সন্দেহে পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। তবে এ ঘটনায় রোববার বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের একদিন পর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।  শনিবার বিকালে বেজপাড়া মসজিদে আছরের নামাজ শেষে মসজিদের অদূরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবদুল মান্নান। তিনি বেজপাড়া শান্তি শৃংখলা রক্ষা কমিটিও সভাপতি ছিলেন।  দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় এলাকাবাসী ও জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাৎক্ষণিকভাবে তারা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু জানান, রোববার লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে মিছিল করতে করতে নেতৃবৃন্দ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে খুনিদের আটকের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও প্রশাসনের কাছে মান্নান খুনের জবাব চাওয়া হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ন কবীর এসে নেতাকর্মীদের কথা শোনেন। পরে বিক্ষুব্ধকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দানকালে খুনিদের আটকে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ন কবীর।
এরপর সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন হত্যাকারীদের যে কোন মূল্যে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিলে অবস্থান ভেঙ্গে লাশ নিয়ে শহরের বেজপাড়ায় যান নেতারা। দুপুর দেড়টায় দিকে লাশ নেয়া হয় নিহতের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদপাড়ায়। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে বিকেলে আব্দুল মান্নানের মরদেহ শহরের গাড়িখানা রোডস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়। এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে বেজপাড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে, মান্নান  জড়িত থাকার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম নামে দুজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
হত্যাকান্ডের একদিন পর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেশমা শারমিন জানিয়েছেন, প্রশাসনিক কারণে ওসি সহিদুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক বদলি করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top