সকল মেনু

৯০ দিনের কর্মসূচি এবোলা ঠেকাতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম.ঢাকা: আফ্রিকার দেশ থেকে এবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ৯০ দিনের জরুরি সর্তকতা জারি করেছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে এ ভাইরাস ঠেকাতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছে।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এবোলা ভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, কমিটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল নৌ, স্থল, বিমান বন্দরে কাজ শুরু করবে। এক্ষেত্রে কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা পোশাক ও অত্যাধুনিক জ্বর পরিমাপের যন্ত্র দেয়া হবে।

এই কমিটির প্রধানে হিসেবে থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন। তবে কমিটির সদস্য কত হবে তার সংখ্যা বলেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এসময় তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার মোট ৪টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। দেশগুলো হলো- লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিয়ন ও গিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এবোলা ভাইরাস সংক্রান্ত সরাদেশে প্রতিরোধমূলক সতর্কতা সৃষ্টি করা হবে। যা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের সকল দেশেকে অনুরোধ করেছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত কার্যক্রম সফলভাবে করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির মধ্যে স্বরাষ্ট্র, বেসরকারি বিমান, সামরিক বাহিনী নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, রোগ তত্ত্ব ইনিস্টিটিউট ও ইমিগ্রেশনে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা থাকেবেন।’

কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘এ কমিটি সব বিমান, নৌ এবং স্থলবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করবে। এক্ষেত্রে যাকে সন্দেহ হবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার কুর্মিটোলা আর্মি হাসপাতালে স্থানান্তর করবে। এ হাসপাতালে এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এমন সন্ধেহজনক রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০ সিটের একটি ইউনিট খোলা হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে এর আগে যেসব ভাইরাস বাংলাদেশে এসেছে, তা সফলভাবে আমরা মোকাবেলা করতে পেরেছি। এখন বিশ্বব্যাপী নতুন এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। এখন কীভাবে এর প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে আমরা বৈঠকে করেছি।’

রোগতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক মাহমুদুর রহমান জানান, ১৯৭৬ সালে কঙ্গো ও সুদানে এ ভাইরাসটি প্রথম দেখা দেয়। কঙ্গোর একটি নদীর নাম এবোলা। সে কারণেই এই ভাইরাসের নাম রাখা হয়েছে এবোলা।

এসময় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল কালাম আজাদ জানান, আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের মৎস্যজীবী শ্রমিক রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের কেউ ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে আমাদের নিকট কোন তথ্য নেই। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তি মিশনগুলো থেকে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য এখনো আসেনি। এর জন্য আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top