সকল মেনু

পারিজা ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছে কুড়িগ্রামের কৃষকরা

 ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতনিধিঃ বছরের এই সময়টিতে জমিতে পাকা ধান থাকারা কথা নয়। তবে কুড়িগ্রামের  বিভিন্ন এলাকার জমিতে এখন সোনালী ধানের সমারোহ। বছরের ৩ মাস পতিত থাকা জমিতে পারিজা জাতের আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। মাঠে মাঠে এখন পারিজা জাতের আউশ ধান কর্তনে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। নতুন শস্যবিন্যাস পদ্ধতিতে একই জমিতে বছরে ৪টি ফসল উৎপাদনের অংশ হিসেবে  স্বল্পমেয়াদি আমন ধান-সরিষা-মুগডাল-আউশ(পারিজা) ধানের আওতায় জেলায় এবার  ১ হাজার বিঘা জমিতে পারিজা ধানের চাষ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ ধানের চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া গেলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ৯০ লাখ টনের বেশি। পারিজা ধান চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারী সংস্থা আরডিআরএস, বাংলাদেশ। নতুন শস্যবিন্যাস  পদ্ধতিতে গত দু’ বছরে জেলার ৪৩০জন কৃষক ৪৩০ বিঘা জমি এ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হলেও এবার কৃষকরা নিজেরাই নিজেদের বীজ থেকে আরো ৫০০ বিঘা জমিতে পারিজা ধানের আবাদ করেছে।  জেলা সদরের বেলগাঁছা ইউনিয়নের আতœারাম গ্রামের  কৃষক মোঃ ইছার উদ্দীন নতুন শস্যবিন্যাস স্বল্পমেয়াদি আমন ধান-সরিষা-মুগডাল-পারিজা ধানের আওতায় ৪০ শতক জমিতে পারিজা জাতের আউশ ধান আবাদ করেছেন।তিনি বলেন, বছরের এই সময়টাতে ৩ মাস জমি পড়ে থাকে অথচ এ পদ্ধতিতে আমরা এই অভাবি সময়ে ধান ঘড়ে তুলতে পেরে আনন্দিত। একদিকে যেমন আমাদের খাবারের সংস্থান হচ্ছে অপরদিকে গো-খাদ্যের ও সংকট মিটছে।  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল জানান, কুড়িগ্রাম জেলার মাঝারি উঁচু জমি গুলোতে বছরে চারটি ফসল চাষের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব। এর মধ্যেদিয়ে সারাবছরেই জমিতে কোন না কোন ফসল থাকবে। আর এ পারিজা ধান আবাদের পরিধি বারলে ৯০ লক্ষ টন উদ্বিত্ত ধান উৎপাদন সম্ভব হবে।  পারিজা ধান কর্তন উপলক্ষে মঙ্গলবার জেলা সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের গঙ্গাদাস গ্রামে ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাকেন্দার পাড় গ্রামে জলবাযূ পরিবর্তন জনিত অভিযোজন ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, আরডিআসএস-বাংলাদেশ কুড়িগ্রামের পরিবেশ সমন্বয়কারী আব্দুল মান্নান । সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ররিউল করিম, পরিবেশ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল জব্বার প্রমূখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top