সকল মেনু

সৈয়দপুরের গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাশবন

 মো. আমিরুজ্জামান, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা: নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাশবন। নিকট অতীতেও দেখা গেছে শরৎকাল এলেই গ্রামবাংলার ঝোপ-ঝাড়, রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মন মাতানো নাচানাচি। কাশবনের ফুলগুলো দোল খেত একটার সাথে আর একটা। এ সময় অজান্তেই মানুষের মনে ভিন্ন রকম আনন্দের ঝিলিক বয়ে যেত। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বিভিন্ন নদীর দুই ধারে এলাকাগুলোতে শরৎকালের সেই চিরচেনা দৃশ্য আর দেখা যায় না। কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন। এখন গ্রামবাংলায় বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়টি কাশফুল চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। এ কাশবন চাষে বাড়তি পরিচর্যা ও সার প্রয়োগের প্রয়োজনও নেই। আপনা থেকে অথবা বীজ ছিটিয়ে দিলেই কাশবনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কাশবনের ব্যবহার বহুবিধ। চারাগাছ একটু বড় হলেই এর কিছু অংশ কেটে গরু-মহিষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যায়। কাশ দিয়ে গ্রামের বধূরা ঝাটা, ডালি, দোন তৈরি করে থাকে।  জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ ঝোপ-ঝাড়, বন-জঙ্গল ও অন্যান্য পতিত স্থান কেটে কৃষি জমি সম্প্রসারণ করাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক এলাকা গড়ে তুলেছেন। এতে প্রকৃতিতে অপরুপ শোভাদানকারী কাশবনসহ গ্রামবাংলার অনেক ঐতিহ্যবাহী  ও মন মাতানো দৃশ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে । মানুষ একটু সচেতন হলেই কাশবনসহ গ্রামবাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top