সকল মেনু

খালেদার দুই আপিলের শুনানি পিছিয়েছে

 আদালত প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীর্তি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনকারী বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদার দুই আপিলের শুনানি পিছিয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর আপিলের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার খালেদার পক্ষে আইনজীবীরা সময় প্রার্থনা করলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত বলেন, অবকাশের পর নতুন করে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে এ মামলার ওপর শুনানি হবে।  আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবেদীন  উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে খালেদার আইনজীবীরা জানান, লিভ টু আপিল করার জন্য মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রয়োজন। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে দেওয়া রায়ের কপি এখন না পাওয়ায় আমরা সময় আবেদন করি। এর প্রেক্ষিতে আদালত সময় মঞ্জুর করে অবকাশের পর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে গত বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর ২১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ। ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। এর আগে গত ৭ জুলাই খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দায়ের করেন। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়। এদিকে ঢাকা বিশেষ জজ আদালতে বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে গত ১৯ জুন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে তা খারিজ করে দিয়ে আদেশ দেয়। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়া তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে গত ২৫ মে খালেদা জিয়ার এ রিট আবেদনের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ। গত ১২ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান এ রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট বিবেচনাধীন থাকা পর্যন্ত মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড মামলায় অভিযোগ গঠন করে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top