সকল মেনু

ফের রিমান্ডে এসআই জাহিদ

 আদালত প্রতিবেদক: ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন হত্যা মামলায় মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান ও পুলিশের সোর্স নাসিমের ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে  আসামি জাহিদ ও নাসিমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন ডিবি ইনস্পেক্টর নিবারন চন্দ্র বর্মন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান আসামি জাহিদ ও নাসিমের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৭ জুলাই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই দুই আসামিকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরআগে গত ১২ জুলাই রাতে ব্যবসায়ী সুজনকে তার ধানমণ্ডিস্থ শংকরের বাসা থেকে মিরপুর থানায় ধরে নিয়ে যান এসআই জাহিদ। পরে সুজনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হন এই পুলিশ সদস্য। এই অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজন। এ অবস্থায় সুজনকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এসআই জাহিদকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে ঘটনার তদন্তে মিরপুর বিভাগের এডিসিকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ। মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই এসআই জাহিদুর রহমান ও সোর্স নাসিম আটককৃত মাহবুবুর রহমানকে থানা হাজতে না রেখে নিজ হেফাজতে রাখেন এবং মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে মহিলা হাজতখানায় রাখেন। এরপর রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে ভিকটিমকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হন। ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে এসআই জাহিদ মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন খানকে মোবাইল ফোনে জানান, সুজনের বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। ক্লিনিক ও হাসপাতালের কথা বলা হলেও কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এজাহারে তার কোনো উল্লেখ নেই। এছাড়াও এজাহারে উল্লেখিত সুজনের স্ত্রীর বক্তব্য হলো, বাসায় অভিযানকালে সুজনকে বাথরুমের দরজা আটকিয়ে পেটানো হয়। থানায়ও তার স্বামীকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তিনি তার স্বামীর চিৎকার শুনেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top