সকল মেনু

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দম্পতিকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট

 মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সন্ন্যাসী সেজে বাসায় ঢুকে এক দম্পতিকে অজ্ঞান করে বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। অন্যদিকে তারাবীহর নামাজ পড়তে আসা এক মুছল্লির প্রাইভেট কার চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার রাতে শহরতলীর দক্ষিন উত্তরসুর এলাকার সুজিত শীলের বাড়িতে ও শহরের কলেজ রোডস্থ  থানা জামে মসজিদের বিপরিত পাশে উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসের গেইটের ভিতরের পার্কিং থেকে এসব ঘটনা ঘটেছে। জানাযায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন উত্তরসুর এলাকার সুজিত শীলের বাড়িতে এক সন্ন্যাসী প্রবেশ করে তাদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে রাতের কোন এক সময় সুজিত শীল ও তার স্ত্রী মঙ্গলা শীলকে চেতনা নাশক কিছু খাইয়ে কিংবা ছিঠিয়ে অজ্ঞান করে তাদের ঘরের মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তথাকথিত ওই সন্ন্যাসী। সকালে প্রতিবেশিরা অজ্ঞান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। অপরদিকে একই রাতে শ্রীমঙ্গল থানা জামে মসজিদে তারাবীহর নামাজ পড়তে আসা শহরের মৌলভীবাজার রোডের এক স-মিল ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত টয়োটা কম্পানির একটি প্রাইভেট কার  সাব-রেজিষ্টার অফিসের সামনের গাড়ী পার্কিং থেকে চুরি হয়ে যায়। কার  চুরির  ঘটনায় সোমবার গাড়িটির মালিক সোনালী স-মিলের সত্ত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বেলাল শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন । ১১১ মডেলের ধূসর রংয়ের  ১৫০০ সিসির গাড়িটি ১৯৯৫ সালের যার নং ঢাকা-মেট্রো গ- ১৩-৩৯৮৮।  গাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম বেলাল বলেন, “প্রতিদিনের মতো রোববার আমি মসজিদের পাশেই সাবরেজিস্ট্রার অফিসের বাওয়ান্ডারীর ভিতরে আমার গাড়িটি রেখে শ্রীমঙ্গল জামে মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করছিলাম। নামাজ থেকে বেরিয়ে দেখি গাড়িটি নেই এবং লক্ষ করি  প্রতিদিনই সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দরজা বন্ধ থাকলেও ওই দিন খোলা ছিল। এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার্স ইনচার্য মো. আব্দুল জলিল বলেন, সংঘটিত ঘটনায় পুলিশি অভিযান অভ্যাহত আছে। আর বাসা-বাড়িতে অপরিচিত লোকদের প্রবেশের ব্যপারে জনগনকে আরো সচেতন থাকা প্রয়োজন। আগামী রমজানের ঈদকে সামনে রেখে শহরে অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top