সকল মেনু

অবসর কাটুক বড় পর্দায়

 আফিফা জামান : একটা সময় বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছিল চলচ্চিত্র। অবসর পেলেই নানা শ্রেণীর মানুষ ছুটে যেত প্রেক্ষাগৃহে। দুঃখজনক হলেও কালের বিবর্তনে তা আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। তবে আশার বাণী হলো, আবারো চলচ্চিত্রে অল্প অল্প সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। সারাদেশে যখন প্রেক্ষাগৃহ বিলুপ্ত হচ্ছে, তখন রাজধানীতে নির্মিত হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির সিনেপ্লেক্স। সাধারণ অর্থে সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা কমপ্লেক্স বলতে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত প্রেক্ষাগৃহকেই বোঝায়। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিনেপ্লেক্সে থ্রিডি থিয়েটার, সিলভার স্ক্রিন, ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমসহ ফুডকোর্টের ব্যবস্থা থাকে। ইট পাথরের এই শহরে প্রাণভরে শ্বাস নেওয়াই তো দায়। খোলা জায়গা তো এক মহাযজ্ঞ। তবুও অবসরে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু সময় কাটানো চা-ই চাই। তাই অবসর কাটানোর দারুণ জায়গা হতে পারে এই সিনেপ্লেক্স। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাজধানীর অত্যাধুনিক মাল্টিপ্লেক্স প্রেক্ষাগৃহের কথা।

বসুন্ধরা সিটি ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’
বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স মুভি থিয়েটার ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। ২০০২ সালে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল আটে এই হলটি চালু করা হয়। বর্তমানে এখানে থ্রিডি প্রজেকশন টেকনোলজি, সিলভার স্ক্রিন, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড ও স্টেডিয়াম সেটিংসসহ চারটি সুবিশাল হল রয়েছে। ১২৮৬টি আসন সম্বলিত এই সিনেপ্লেক্সে একটি সুবিশাল লবি রয়েছে, যেখানে পপকর্ণ, কোমল পানীয়, আইসক্রিমসহ বিভিন্নরকম ফাস্ট ফুডের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ ও হলিউডের আলোচিত সিনেমা এখানে প্রদর্শিত হয়ে থাকে।

টিকেট
এ সিনেমা হলে দুই শ্রেণীর দর্শক আসন রয়েছে। এক. প্রিমিয়াম দুই. রেগুলার। সপ্তাহের শুক্র-শনি এবং অন্যান্য দিন বিকেল ৩টার পরে রেগুলার টিকিটের মূল্য টুডি হলে ২৫০ টাকা। থ্রিডি হলে ৩৫০টাকা এবং প্রিমিয়াম টিকিটের ক্ষেত্রে টুডি হলে মূল্য ৩০০ টাকা। থ্রিডি হলে ৪০০ টাকা। সপ্তাহের অন্যান্য দিনে বিকেল ৩টার আগে মুভি শো-এর রেগুলার টিকিটের মূল্য টুডি হলে ২০০ টাকা। থ্রিডি হলে ৩০০টাকা।

প্রিমিয়াম টিকিটের মূল্য টুডি হলে ২৫০ টাকা। থ্রিডি হলে ৩৫০টাকা। আপনি চাইলে, সিনেমা প্রদর্শনীর একদিন পূর্বেই অগ্রিম টিকেট বুকিং দিতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনেও টিকিট বুকিংয়ের  ব্যবস্থা রয়েছে। মর্নিং,ম্যাটিনী ১, ম্যাটিনী ২, ইভিনিং ১, এবং ইভিনিং ২ – এই পাঁচ বেলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। তবে সপ্তাহে মুভি সিডিউল পরিবর্তিত হয়। প্রতিদিনই এটি খোলা থাকে।

যোগাযোগ
১৩/৩ ক, বসুন্ধরা সিটি, লেভেল ৮, পান্থপথ, তেজগাঁও, ঢাকা ১২০৫। ফোন : ৯১৩৮২৬০, ৯১৩৪২৯৮, ৯১৪১৩৩২, ৯১৪০৮১৯। ওয়েব সাইট : www.cineplexbd.com।

যমুনা ‘ব্লকবাস্টার সিনেমাস’
যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল ফাইভে অবস্থিত ‘ব্লকবাস্টার সিনেমাস’ হল। এটিই দেশের সর্ববৃহৎ সিনেমা হল। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় এই মাল্টিপ্লেক্সে উৎসব, ক্লাব রয়েল, ট্রানজিশন, এক্সপোজার, থ্রিল, মনটেজ ও আইরিশ নামের এই সাতটি হল। এর মধ্যে ‘উৎসব’-এ সারা বছর চলে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র। অন্য হলগুলোতে বিভিন্ন সময় মুক্তি পাওয়া দেশি, বিদেশি, অ্যানিমেশন ও থ্রিডি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। তবে হলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অভিজাত এবং এক্সক্লুসিভ হচ্ছে ক্লাব রয়েল।এই সিনেমা হলে যারা সিনেমা দেখবেন তারা ভিআইপি আতিথেয়তা পাবেন।

টিকেট
ক্লাব রয়েলে এক্সিকিউটিভ এবং বিজনেস নামক দুইটি শ্রেণীর দর্শক আসন রয়েছে। এর টিকিট মূল্য যথাক্রমে ৬০০ এবং ১০০০ টাকা। অন্যান্য সিনেমা হলগুলোতেও  প্রিমিয়াম ও রেগুলার নামে দুইটি দর্শক আসন রয়েছে। সপ্তাহের শুক্র-শনি এবং অন্যান্য দিন বিকেল ৩টার পরে রেগুলার টিকিটের মূল্য টুডি হলে ৪০০ টাকা। থ্রিডি হলে ৪৫০টাকা। প্রিমিয়াম টিকিটের ক্ষেত্রে টুডি হলের টিকেট মূল্য ৪৫০ টাকা। থ্রিডি হলে ৫০০ টাকা। অন্যান্য দিনে বিকেল ৩টার আগে মুভি শো এর রেগুলার টিকিটের মূল্য টুডি হলে ৩০০ টাকা। থ্রিডি হলে ৩৫০টাকা।

প্রিমিয়াম টিকিটের মূল্য টুডি হলে ৩৫০ টাকা। থ্রিডি হলে ৪০০টাকা। সিনেমা প্রদর্শনীর দুইদিন পূর্বেও অগ্রিম টিকেট বুকিং দেওয়া যাবে। এছাড়া অনলাইনে টিকিট বুকিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েয়ছে। এখানে মর্নিং ,ম্যাটিনী ১, ম্যাটিনী ২, ইভিনিং ১, এবং ইভিনিং ২ এই পাঁচটি শিফটে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ। তবে প্রতি সপ্তাহে মুভি সিডিউল পরিবর্তিত হয়।

যোগাযোগ
ক-২৪৪, যমুনা ফিউচার পার্ক, লেভেল ফাইভ, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, প্রগতি এভিনিউ, কুরিল, ঢাকা। মোবাইল :  +৮৮০১৯১৩৩৯৮৯০৫, +৮৮০১৯১৩৩৯৮০৫। ওয়েব সাইট : www.blockbusterbd.com

বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড
ঢাকা শহরের অন্যতম পুরোনো সিনেমা হল হচ্ছে বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ সিনেমা হল। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হলটি বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা সংযোজনের মাধ্যমে সর্বোত্তম দর্শকসেবা দেয়ার চেষ্টা করছে। এখানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর কক্ষ রয়েছে ২টি। যেগুলোর প্রত্যেকটির ধারণক্ষমতা ১২৬৫ জন। এখানের সাউন্ড সিস্টেমও উন্নত। ডিটিএইচ সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। পর্দা বা স্ক্রীনে ওয়াইড সিলভার স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

টিকেট
এক্সিকিউটিভ ক্লাস, স্পেশাল ক্লাস এবং ইকোনোমিক ক্লাস এই তিন শ্রেণীর দর্শক আসন রয়েছে এ সিনেমা হলের। এক্সিকিউটিভ ক্লাসের টিকেট মূল্য ১৫০ টাকা। স্পেশাল ক্লাসের টিকেট মূল্য ১০০ টাকা। ইকোনোমিক ক্লাসের টিকেট মূল্য ৬০ টাকা। এছাড়া অগ্রিম সিট বুকিং নেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। নম্বর বুকিং নেওয়ার জন্য সাতদিন পূর্বে বলাকা সিনে ওয়ার্ল্ডে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। প্রতিদিন  সকাল সাড়ে ১০ টা, বিকেল সাড়ে ৩টা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা এবং রাত সাড়ে ৯ টায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয়ে থাকে। তবে প্রতি শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় প্রদর্শনী শুরু হয়।

যোগাযোগ
ঢাকা সরকারি নিউ মার্কেটের বিপরীতে ‘বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড’ অবস্থিত। ফোন : ০২-৮৬২২১০৩। এছাড়াও আপনি যেতে পারেন রাজধানীর শ্যামলী সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা, এশিয়া, সনি ইত্যাদি ডিজিটাল সিনেমা হলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top