সকল মেনু

জয়ের কৌশল টাইব্রেকার

 ক্রীড়া ডেস্ক : টাইব্রেকার বা পেনাল্টি শ্যুট আউটকে ভাগ্য পরীক্ষার সঙ্গে তুলনা করা হয়। অনেক সময় টাইব্রেকারে হেরে যোগ্য দলও বিদায় নেয় বিশ্বকাপ থেকে। টাইব্রেকারে বেশিরভাগ সময়ই খলনায়ক বনে যান গোলরক্ষক। খুব কম সময়ই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পেনাল্টি শ্যুট রুখতে পারেন তিনি। তবে টাইব্রেকার জয় করতে কিছু দিক মাথায় রাখলে অনেকাংশে সফল হওয়া যায়। দেখা যাক বিষয়গুলো কি কি: স্ট্রাইকারের মনোযোগে চিড় ধরানো
একটু ঝুঁকে বার বার দুই পায়ের ভার বদলানো এবং গোল লাইনে অস্থির নাচানাচি গোলরক্ষকদের সাধারণ দুটি কৌশল। এর লক্ষ্য একটাই, স্ট্রাইকারের মনোযোগ স্থির হতে না দেয়া। এর সঙ্গে ভালো কাজ দেখাতে পারে চোখ ধাঁধানো জ্বলজ্বলে জার্সি। হাতে অতিরিক্ত বড় আকারের গ্লাভসও স্ট্রাইকারের দৃষ্টি বিভ্রম ঘটাতে পারে।

একপাশে বেশি জায়গা রেখে দাঁড়ানো
গোলরক্ষকের পাশে গোল পোস্টের যে অংশটি বড়, ১০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে যে স্ট্রাইকার সেই পাশ দিয়েই গোল করতে চাইবেন। গোলরক্ষক একপাশে বেশি জায়গা রেখে দাঁড়ালে এবং শট নেয়ার পর সেদিকেই লাফ দিলে বল রুখে দেয়া যেতে পারে।

লাল রংয়ের জার্সি পরা
গবেষকরা বলেন, লাল রং বিপদ ও রাগের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে স্নায়ু যখন উত্তেজিত থাকে, লাল রং মানুষের সব মনোযোগ কেড়ে নিতে চায়। তাই লাল হতে পারে গোলরক্ষকদের জার্সির আদর্শ রং। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, লাল জার্সি গায়ে থাকলে পেনাল্টি শ্যুট আউটে একজন গোলরক্ষককে মাত্র ৫৪ শতাংশ গোল হজম করতে হয়েছে। হলুদের ক্ষেত্রে এই হার ৬৯ শতাংশ, নীল জার্সিতে ৭২ শতাংশ, আর সবুজ জার্সির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ।

বল তেছড়া করে বসানো
শ্যুট আউটের বাঁশি বাজার আগে এগিয়ে যাও এবং খেলোয়াড়ি মেজাজে স্ট্রাইকারের সঙ্গে বন্ধুসুলভ করমর্দন কর। এরপর মাটি  থেকে বল তুলে একটি স্ট্রোক বা দুটো ছোট্ট চাপড় মার। একটু  তেরছা করে জায়গামতো বল বসিয়ে ফিরে এসো গোল পোস্টে। তাহলেই পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন তোমার হাতে।

এরপর বল আবার মনমতো কায়দায় বসিয়ে লক্ষ্যভেদের জন্য মনোযোগ কেন্দ্রিভূত করা স্ট্রাইকারের জন্য হয়ে ওঠে অনেক কঠিন।

হোমওয়ার্ক
স্নায়ুযুদ্ধে এগিয়ে থাকতে হোমওয়ার্কের বিকল্প নেই। গোলরক্ষকের জানা থাকতে হবে স্ট্রাইকারের স্টাইল। আর স্ট্রাইকার খুঁজবে কিপারের দুর্বলতা।

সময়ের দাম
পেনাল্টি শ্যুট আউটে স্ট্রাইকারের জন্য সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  গবেষকরা বলছেন, বাঁশি বাজার পর ৩ সেকেন্ডের মধ্যে শট নিলে স্ট্রাইকারকে অবাক হয়ে দেখতে হতে পারে, কী চমৎকারভাবে সেটি আটকে দিল গোলরক্ষক। আর স্ট্রাইকার যদি একটু ধৈর্য্য ধরেন, শট নেন অন্তত ১৩ সেকেন্ড পর, এই অপেক্ষা টলিয়ে দিতে পারে গোলরক্ষকের মনোসংযোগ।

তথ্যসূত্র  : ডিডব্লিউ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top