সকল মেনু

মাহে রমজান

 ডঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ শওম ও সিয়াম অর্থ বিরত থাকা, নিবৃত থাকা, অতœ সংযম করা। মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে সম্পূর্ন ভাবে পরাভূত করে পরিত্রতা লাভ করা। মানুষ পবিত্র ছাড়া কোন এবাদত কবুল হয়না। এবাদতের প্রথম শর্ত নিজে  পবিত্র হওয়। ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ মার্চ মাস দ্বিতীয় হিজরী সনে রোজা ফরজ করা হইয়াছে। আল্লাহ তালা কোরআন মজিদে এরশাদ করিয়াছেন বিসমিল্লাহির রহমানির রাহির “ফা লুল লিমা ইউরিদ” ব্যাখা আসিয়াছে আমি আল্লাহ মানুষের গোনা মাফ করনেওলা। যদি সে  মোমেন হয় মুসলিম জীবনে সর্বশেষ্ট এবাদত। সিয়াম কোরআন সজিদে মোট ১১৪ টি সুরা রহিয়াছে তœমধ্যে ৬টি সুরার মোট ১৪ বার রোজার বিষয়ে উল্লেখ আছে। সুরাগুলি নিন্মরুপ- ১. আল বাকারা ২. আন নিসা ৩. আল মাইদা ৪. মরিয়মা ৫. আল আহাজাব ৬. আল মুজাদালাহা।  সুরা বাকারাত ১৮৩,১৮৪ নং আয়াতে মুসার জামানায় আসুরাত ১০ দিন রোজা ফরজ ছিল। মুসা (আঃ) যখন তাহার কাউম বা উম্মোতেরা দল বল জন গোষ্টি সহ নীল দরিয়ার কিনারে ফেরাউনের সৈন্যরা ঘেরাও করিয়া ফেলিয়াচেন ঐ সময় রহরম মাস ছিল। রোজা অবস্থায় মুসা (আঃ) তাহার উম্মোতগন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করিল, আল্লাহ মুসার এবং তাহার লোকজনের দোয়া কবুল করিল বিনিময়ে বিনি যুদ্ধে ফেরাউন ও তাহার শক্তিশালী সৈন্য বাহিনী ধংশ ফেরাউন ক্ষুদ্ধ হল, রাজ্য আমার সমুদ্র  আমার, রাজ সিংসাহন আমার, বলিষ্ট বীরযোদ্ধা বীরযোদ্ধা সেনাবাহিনী থাকতে মুসা (আঃ) সমুদ্র পথে চলিয়া যাইবে তাই তাহার সমস্ত শক্তি যুদ্ধের অন্ত্র সন্ত্র সহ মুসাকে ধরবার জন্য সমুদ্র পথে প্রবেশ করল। মুসার একজন উম্মোত যখন সমুদ্রে ছিল না আল্লাহ তালা তাহার সমস্ত যুদ্ধের সরঞ্জামসহ শক্তিশালী সেনা বাহিনী নীল দরিয়ার পানি চাপ দিয়া তাহাকে ধংস করিয়া দিল। রেখেছ রোজা, পড়েছ নামাজ, পড়েছ কোরআন, তা জানী আমি জানী কিন্তু হে তোতা পাখি, ঈমানী শক্তির প্রমান করেছ কতখানী।  উম্মোতে মুহামাদির আরও শক্তিশালী যদি কোন মুসলমান সঠিকভাবে ঈমান ইকিনের সহিদ পুত হয়ে রোজা পালন করে তবে আল্লাহ তালা রোজাদারের দোওয়া কবুল ও মঞ্জুর করে নেন। আল্লাহ তালা আমাদের সকলকে পবিত্র রোজা রাখার তওফিক দান করুন আমিন। আলহাজ্ব্ মোহাম্মদ ফজলার রহমান, ভিতরবন্দ বাজার, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top