সকল মেনু

আর্জেন্টিনা নব্বইয়ের পর সেমিফাইনালে

 ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ মানেই আর্জেন্টিনার জন্যে বিভীষিকাময়। গত পাঁচ বিশ্বকাপের আসর সেটাই প্রমাণ করে। ১৯৯০ সালের পর কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকাতে পারেনি ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। অবশেষে সেই বাধা টপকালো লিওনেল মেসির দল। দলকে প্রত্যাশিত সাফল্য দেবার পাশাপাশি সমর্থকদের আশাপূরণ করছেন টিম আর্জেন্টিনা। শনিবার রাতে ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন গঞ্জালো হিগুয়েন। ম্যাচ শুরুর অষ্টম মিনিটেই বিশ্বকাপে গোলটি করেন হিগুয়েন। ডি বক্সের বাহির থেকে ডি মারির পাস ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্টনেনের পায়ে লেগে হিগুয়েনের কাছে পৌঁছে। বক্সের ভিতরে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই স্ট্রাইকার। গোল হজম করে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারদের ওপর চেপে বসে বেলজিয়াম। ২৬ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে গোল হজমের থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক রোমেরো। কেভিন ডি ব্রুইনের শট ঠেকিয়ে দেন রোমেরো। ৪২ মিনিটে ভার্টনেনের ক্রস কেভিন মিরালেস হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতির পূর্বে বেলজিয়ামের ডি বাহির থেকে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসির নেওয়া কিক বারের অনেকটা পাশ দিয়ে চলে যায়। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেসি-হিগুয়েনরা। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ৫১ মিনিটে হিগুয়াইনের জোড়াল শট বেলজিয়ামেরবার গোলপোস্টে লেগে মাঠের বাহিরে চলে যায়। এর ৪ মিনিটর পর হিগুয়েনের আরেকটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে বেলজিয়ামও গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল। ভার্টনেনের ক্রসে ফেলাইনির হেড বারের খানিকটা ওপর দিয়ে চলে যায়।

৮৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার গোল ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান লিওনেল মেসি। কিন্তু বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেনি বিশ্বকাপে চার গোল করা মেসি।

শেষ বাঁশি বাজা পযন্ত কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি। ১ গোল হজম করেই কপাল পুড়ায় বেলজিয়াম। ২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচাতে ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেল মেসিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top