সকল মেনু

দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও মার্সেলের ব্যাপক প্রস্তুতি;রোজা-ঈদে ফ্রিজের বাজার চাঙ্গা

 নিজস্ব প্রতিবেদক: এবারের রোজা ও ঈদে বিপুল পরিমান ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে দেশীয় উৎপাদনকারীরা। সে লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। আর্থ সামাজিক স্থিতিশীলতা, ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী মূল্য ইত্যাদি বিবেচনায় এবার রেকর্ড পরিমান ফ্রিজ বিক্রি হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা। জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে ফ্রিজের চাহিদা বেড়েছে। যদিও চাহিদার সিংহভাগ দেশে তৈরি ফ্রিজের দখলে। উন্নত প্রযুক্তি, সাশ্রয়ী মূল্য এবং হাতের কাছে বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে ক্রেতাদের আস্থা এখন দেশীয় ফ্রিজের উপর। তাছাড়া রেফ্রিজারেটর এখন আর বিলাসী পণ্য নয়, সবশ্রেণীর মানুষের কাছে অতি প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে রোজা এবং ঈদের সময় বাংলাদেশে ফ্রিজ বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। এবারও রমজান মাসের শুরু থেকেই লক্ষ্মণীয়ভাবে বিক্রি বেড়েছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে বিক্রেতাদের প্রত্যাশা। সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি শোরুমে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। মালিবাগে ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বাতেন জানান, এবার রোজার প্রথম দিন থেকেই ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে অন্যবারের চেয়ে বেশি। জুলাই মাসে বেতন পাওয়ার পর থেকেই ক্রেতারা ফ্রিজ কিনছেন। তার ধারণা, ঈদ বোনাস পাওয়ার পর ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়বে।দেখা গেছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় এবং দাম হাতের নাগালে হওয়ায় দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও মার্সেলের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। ঈদের বাড়তি চাহিদা মেটাতে মজুদ বাড়িয়েছে ওয়ালটন ও মার্সেল। ঈদ উপলক্ষে আসছে নতুন নতুন মডেল। ফ্রিজের রং ও ডিজাইনে এসেছে বৈচিত্র। ওয়ালটনের হেড অব মার্কেটিং ইমদাদুল হক সরকার বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটন মজুদ বাড়িয়েছে। বেড়েছে নিয়মিত উৎপাদনের পরিমানও। তিনি আরো জানান, গত বছরের তুলনায় ওয়ালটনের বিক্রি ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর সাড়ে ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর রমজান মাসে বিক্রির টার্গেট এক লাখ ২০ হাজার ইউনিট। ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ১২৬ লিটার, ৩২০ লিটার ও ৩৮০ লিটারের ফ্রিজ বাজারে  ছাড়া হয়েছে। এ মাসেই যুক্ত হবে ২৫০ লিটারের গ্লাসডোর ডিপ ফ্রিজ। মার্সেল ব্র্যান্ডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন রাজিব জানান, ফ্রিজ বিক্রির দিক দিয়ে মার্সেল এখন দ্বিতীয়। রমজান এবং ঈদে তাদের বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করেন তিনি। ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, ওয়ালটন ফ্রিজ বিশ্বমানের। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০ ভাগ বিদ্যুত সাশ্রয়ী এলইডি ল্যাম্প। অন্য ফ্রিজের চেয়ে ওয়ালটন ফ্রিজের ডিপ অংশ অনেক বড়। তিনি বলেন, প্রযুক্তির বিস্ময় ন্যানো টেকনোলজি যুক্ত হয়েছে ওয়ালটনে। এর ফলে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘসময় টাটকা ও জীবানমুক্ত থাকে। নেগেটিভ আয়ন ফ্রিজের ভেতরকে রাখে সজীব ও সতেজ। বাংলাদেশে বিক্রয়োত্তর সেবাতেও ওয়ালটন শীর্ষে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top