সকল মেনু

চাঁদপুর পৌরসভার লীজি ভূমি সেলামীর টাকা বাজার পরিদর্শকের পকেটে

 শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: চাঁদপুর পৌরসভার ইজারা প্রদত্ত ভূমি সেলামীর প্রায় অর্ধকোটি টাকা পৌর কোষাগারে জমা না দিয়ে বাজার পরিদর্শক (বাজার শাখা) মো. নাছির উদ্দিন খান তার নিজ পকেটে ঢুকিয়েছেন। যদিও নোটিশ দেয়ার দীর্ঘ ৭ মাস পর পৌর কোষাগারে আংশিক অর্থ জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। অবশ্য পৌরসভার টাকা নিজ পকেটে নেয়ায় নাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর সচিব মো. আবুল কালাম ভূঁইয়া। গত বছরের ২০ নভেম্বর ভূমি লীজ ও নামজারি তদন্ত কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম ভূঁইয়া সেলামাীর অর্থ কোষাগারে জমা ও লিজকৃত ফাইল তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিতে নোটিশ দেন। ওই নোটিশে জানানো হয়, মো. নাছির উদ্দিন খান চাঁদপুর পৌরসভার ১ থেকে ১৫নং  ওয়ার্ডের ভূমি লীজকৃত ১শ জনের নামের তালিকা তদন্ত কমিটির কাছে দাখিল করেন। ওই তালিকা ফাইল যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় ভূমি লীজকৃত সেলামির  ৪৫ জনের টাকা পৌর কোষাগারে জামা দেয়া হয় নি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে, তাদেরকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভুমি লীজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু  তদন্ত কমিটির কাছে সংযুক্ত ৪৫ জন বা তারও অধিক নামের ফাইল দাখিল করা হয় নি। ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে ভূমি লীজ ও নামজারি তদন্ত কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম ভূঁইয়ার কাছে সমস্ত নামের ফাইল ও যে সকল সেলামাীর অর্থ কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি সে সমস্ত সেলামীর টাকা কোষাধ্যক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে অনুরোধ জানানো হয়।  এ ব্যাপারে কোষাধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মানিক জানান, তদন্তের স্বার্থে জমাকৃত টাকার অংক বলা যাবে না। তবে তিনি টাকা পরিশোধ করে দিয়ছেন। এদিকে যারা ভুমি লীজ নিয়েছেন বিষয়টি জেনে প্রাথমিক ভাবে ঘাবড়ে গেছেন। যদিও বিষটি পৌর কর্তপক্ষ সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের খুব বেশি ভোগন্তির শিকার হতে হয় নি।  তবে নাম প্রাকশ না করা শর্তে বলেন, পৌরসভার টাকা তিনি নিজের কাছে রেখে বিভিন্ন ব্যবসায় খাটিয়েছেন।  এটা কোনো ভাবেই উচিত হয় নি। এছাড়া তিনি নিজের নামে পৌরসভার অনেক জায়গা লীজ নিয়েছে বলে জানা গেছে। ওসব জায়গায় বর্তমানে কয়েক তলা ভবন উত্তোলনের প্রক্রিয়াও চলছে। বিষয়টি নিয়ে মো. নাছির উদ্দিন খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয় নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ভূমি লীজ ও নামজারি তদন্ত কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, তিনি কিছু টাকা জমা দিয়েছেন। বাকী টাকাও জমা দিয়ে দেবেন। আর  সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বলবত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top