সকল মেনু

১২০ মিনিট রোজা রেখেই খেলল আলজেরিয়ার খেলোয়াড়রা

 রফিকুল ইসলাম : আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আলজেরিয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দেশটির প্রায় সবাই মুসলমান ও আরবি ভাষায় কথা বলে। ফ্রান্সের উপনিবেশিকতা থেকে মুক্তি পেতে দেশটি আট বছর যুদ্ধ করে। ১৯৬২ সালে তারা ফ্রান্সের শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু শান্তি মেলেনি। লম্বা সময় ধরে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে সেই ক্ষতি অনেকাংশেই পুষিয়ে নিয়েছে দেশটি। বর্তমানে আফ্রিকার অন্যতম ধনী দেশটি অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি খেলাধুলাও বেশ উন্নতি সাধন করেছে। বিশেষ করে ফুটবলে। ইতিমধ্যে চারবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে দেশটি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। সৃষ্টি করে নতুন এক ইতিহাস। নকআউট পর্বে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় শক্তিশালী জার্মানিকে। আলজেরিয়া শক্ত প্রতিপক্ষ জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে রোজা রেখেই মাঠে খেলতে নামেন আলজেরিয়ার অধিকাংশ খেলোয়াড়। তারকা খেলোয়াড়ে পূর্ণ জার্মানির সঙ্গে ম্যাচের শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে। আলজেরিয়ার খেলোয়াড়দের আক্রমণ রুখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে জার্মানির রক্ষণভাগকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে প্রথমার্ধে গোলবঞ্চিত রাখে জার্মানিকে। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল পেতে দেয় না। ফলে ম্যাচ গড়ায় ইনজুরি টাইমে। সেখানে অবশ্য আর পেরে ওঠেনি জার্মানির সঙ্গে। রোজা রেখে ১২০ মিনিট খেললেও আলজেরিয়ার কোনো খেলোয়াড়ের মধ্যে দুর্বলতা কিংবা উদ্যমের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। রোজা রেখেও জার্মানির খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলেছে আলজেরিয়ার খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত তারা হেরে গেলেও জয় করেছে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top