সকল মেনু

আইএসও সনদ পেলো ওয়ালটন

 নিজম্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কমঢাকা: এবার আইএসও ১৮০০১:২০০৭ সনদ পেলো ওয়ালটন। উচ্চমানের পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ এবং উত্তম  নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এই সনদ পায় ওয়ালটন। এটি শিল্পক্ষেত্রে একটি অতি সম্মানজনক সনদ। এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করবে বলে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ মনে করে।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক এইচএসকিউ ডিপার্টমেন্ট এই ওএইচএসএএস-১৮০০১ (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডারডাইজেশন) সার্টিফিকেট দিয়েছে। ওয়ালটনের বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন হচ্ছে- নিরাপদ স্বাস্থ্য ও উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ, দক্ষ কর্মী, ন্যূনতম দূর্ঘটনা ঝুঁকি, যথেষ্ট কর্পোরেট সুনাম ও পণ্যের উচ্চমান এবং এসবের সমন্বয়ে উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে ওয়ালটন সফল হয়েছে।  মুদ্দাকথা শ্রমিকের কর্মপরিবেশ কতটা পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিমুক্ত তা বিচার বিশ্লেষণ করা হয়।  সার্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সুুষ্ঠু, পরিচ্ছন্ন ও মনোমুগ্ধকর কর্মপরিবেশ বজায় রেখে পণ্যের গুনগত মান বৃদ্ধিই এই আর্ন্তর্জাতিক সনদের মূল ভিত্তি। তাছাড়া কর্মবান্ধব নীয়মনীতি এবং এর মাধ্যমে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধিতেও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিবেশ উচ্চমান সম্পন্ন হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত এই সনদ বিশ্ববাজারে ওয়ালটনের সুনাম আরো বৃদ্ধি করবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।  ওয়ালটনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহকারি পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, এর আগে আইএসও ৯০০১:২০০৮ এবং আইএসও ১৪০০১:২০০৪ সদন অর্জন করেছে ওয়ালটন। যার একটি কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও অন্যটি এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উপর। তার মতে, এসব অর্জন ওয়ালটনকে আর্ন্তজাতিকভাবে আরো সম্মানের আসনে আসীন করবে।  ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, আইএসও ১৮০০১:২০০৭ সার্টিফিকেশন ইলেকট্র্র্র্র্রনিক্স ইন্ডাষ্ট্রিতে ভারী মেশিন বা যন্ত্রাংশের সর্বোত্তম ব্যবহারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এটি অবশ্যই ভালো কাজের একটি স্বীকৃতি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি একটি ভালো কর্মপরিবেশ তৈরির। উচ্চমানের পরিবেশ ভালো কাজের স্পৃহা জাগায়। ভালো পরিবেশ ভালো পণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে।  ওয়ালটনের ক্রিয়েটিভ এন্ড পাবলিকেশন বিভাগের প্রধান উদয় হাকিম বলেন, এখন বিশ্ববাসী জানবে আমরা মানসম্পন্ন পরিবেশে বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করছি। আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ওয়ালটনের পণ্যের প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হবে। তাছাড়া আমরা ক্রেতা অধিকারের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ক্রেতারাও এখন জানবেন যে, ওয়ালটন উন্নতমানের পরিবেশে উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করছে। তিনি বলেন, এই সনদ অর্জন আমাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিলো। এর ফলে ভোক্তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আরো বাড়বে। সেইসঙ্গে ওয়ালটনের প্রতি ক্রেতাদের আস্থাও বাড়বে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top