সকল মেনু

সুযোগ থাকছে কালো টাকা বিনিয়োগের

 সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা:  ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হচ্ছে রোববার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গত ৫ জুন জাতীয় সংসদে নতুন প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে সামান্য পরিবর্তন আসলেও বড় কোনো পরিবর্তন থাকছে না প্রস্তাবিত বাজেট আর চূড়ান্ত বাজেটে। শনিবার বাজেট বক্তৃতায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রস্তাবিত বাজেট ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার, যা জিডিপি’র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আকার ছিলো ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। সূত্র বলছে, নব্বই দশকের পর বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে এমন মন্দা দেখেনি অর্থনীতি। অর্থমন্ত্রীও বারবার স্বীকার করেছেন, বেসরকারি খাতে আস্থা এখনও ফিরে আসেনি। নতুন সরকার ক্ষমতা এসেছে। তবে রাজনৈতিক আকাশের কালো মেঘ এখনও কেটে যায়নি। নতুন সরকার চাচ্ছে জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে। বর্তমান সরকারের ওপর আগের মেয়াদে নেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের চাপ রয়েছে। যদিও নিম্নপর্যায়ের স্তিমিত অর্থনীতির মধ্যেও এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রয়েছে। তবে তা চাহিদা ও সম্ভাবনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তারপরও বাড়াতে হচ্ছে ব্যয়। আর উচ্চ ব্যয় সামাল দিতে বাড়াতে হবে আয়ের খাত। এমন কঠিন বাস্তবতার মধ্যেই নতুন সরকারের প্রথম বাজেট দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেটে মোবাইল ফোনে সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন। গত বাজেটেও এমন একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত সরকার সেখান থেকে সরে আসে। এদিকে, শনিবার অর্থমন্ত্রী  সংসদে জানিয়েছেন, আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে। অর্থনীতির স্বার্থে কালো টাকা বিনিয়োগের পক্ষে অবশ্য দেশের অর্থনীতিবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিও। সংগঠনটি বলছে, শর্তসাপেক্ষে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

১ জুলাই থেকে শুরু হবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের নতুন বাজেট।

রেওয়াজ অনুযায়ী অর্থমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্য এবং অর্থবিল পাসের আগে প্রধানমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতার শেষে কিছু বিষয়ে সংশোধনী আনতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ আমলে নিয়ে ওই সব বিষয়ে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top