সকল মেনু

ভিআইপি কারাবাসে তিন র‌্যাব কর্মকর্তা

 অাছাদুজ্জামান,হটনিউজ২৪বিডি.কম :  নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। এদের মধ্যে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ ভিআইপি মর্যাদায় রয়েছেন ডিভিশন সেলে। আর বাকি দুইজন মেজর আরিফ হোসেন ও কমান্ডার এম এম রানা রয়েছেন অপেক্ষাকৃত কম ভিআইপি মর্যাদায়। তবে তারাও ডিভিশনে রয়েছেন বলে কারাসূত্রে জানা গেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা কেমন আছেন সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্রে জানা যায়, সাত খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত র‌্যাব-১১’র সাবেক সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ বর্তমানে কারাগারের ভেতরে ভিআইপি মর্যাদায় রয়েছেন। তিনি ২৬ নম্বর ডিভিশন সেলে আছেন। সেখানে তিনি বাইরে থেকে সরবরাহ করা ভালো ভালো খাবার খাচ্ছেন। এমনকি সেখান থেকে মোবাইল ফোনেও কথা বলছেন অনেকের সঙ্গে।

সূত্র জানায়, তারেক সাঈদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ের জামাই হিসেবে বিশেষ খাতির পাচ্ছেন। তার খাবার ভেতরে প্রবেশের সময় গেটে তেমন একটা চেক হয় না। আর এভাবেই তারেকের জন্য মোবাইল ফোনও কারাগারের প্রবেশ করানো হয়।

ওই সূত্রটি আরো জানায়, তারেক সাঈদ কারাগারে থেকেও জামাই আদরে রয়েছেন। ডিভিশনে ফ্যানের নীচে মশারির মধ্যেই ঘুমানোর সুযোগ পাচ্ছেন। সূত্রটি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘খুনি আসামিরা কী এরকম মর্যাদায় থাকেন?’

এদিকে মেজর আরিফ হোসেন কারাগারের ভেতরে শাপলা-৫ ডিভিশন সেলে রয়েছেন। আর কমান্ডার এম এম রানা রয়েছেন শাপলা-২ ডিভিশন সেলে। এই দুইজন তারেক সাঈদের মত ভিআইপি মর্যাদায় না থাকলেও সাধারণ কয়েদি ও হাজতিদের চেয়েও অনেক বেশি ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তারাও বাইরে থেকে সরবরাহ করা খাবার খাচ্ছেন। তবে তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি সূত্রটি।

এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। আইজি প্রিজন ইফতেখার উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top