সকল মেনু

কেউ হারেনি যে লড়াইয়ে

 আছাদুজ্জামান,১৮জুন : মেক্সিকোর গোলরক্ষক গুইলার্মো ওচোয়ার মধ্যে যেন ভর করেছিলেন ১৯৭০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাংকস। পেলের অসাধারণ একটি শট অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন ব্যাংকস। ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে নায়ক বনে গেলেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক গুইলার্মো। একে একে তিনি ব্রাজিলের চারটি গোলমুখের শট রুখে দেন দারুণ দক্ষতায়। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্রাজিল-মেক্সিকোর লড়াইয়ে হারেনি কেউ। জয় হয়েছে ফুটবলের। কারণ, একটি আদর্শ ফুটবল ম্যাচ হওয়ার জন্য যত ধরনের উপাদানের প্রয়োজন হয়, তার প্রায় সবগুলোই ছিল ব্রাজিল-মেক্সিকোর ম্যাচে। শুধু ছিল না একটি ম্যাচের মূল নিয়ামক গোল।
Goalkeeperগোলের খেলা ফুটবলে গোল না হলে সেই ম্যাচের ভাগ্যে ড্র হওয়া ছাড়া আর কিছু থাকে না। সেটাই হয়েছে ব্রাজিল-মেক্সিকোর ম্যাচে। গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে দল দুটি। দুই ম্যাচ থেকে উভয় দলের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। স্বাগতিক দল হিসেবে ব্রাজিল তাদের সেরাটুকু দিতে পারেনি। যতটুকু দিয়েছে তার সবটুকুই হোঁচট খেয়েছে ওই গুইলার্মোর দ্বারে গিয়ে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, গোলে শ্যুট, বলের দখল থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুতেই সমানে সমান ছিল উভয় দল। ব্রাজিলের বেশ কিছু সফল আক্রমণ যেমন গুইলার্মোর কাছে গিয়ে আছড়ে পড়েছে। তেমনি মেক্সিকোরও বেশ কিছু আক্রমণ খেই হারিয়েছে জুলিয়াস সিজারের কাছে গিয়ে। তবে এই ম্যাচের মাধ্যমে এটা আরো স্পষ্ট হয়েছে যে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য এখনো শতভাগ পরিপূর্ণ দল হয়ে উঠতে পারেনি ব্রাজিল। নিজ দেশে বিশ্বকাপ হওয়ায় ফুটবল পাগল ব্রাজিলিয়ানদের যে প্রত্যাশা, সেটা শেষ পর্যন্ত নেইমার-অস্কাররা পূরণ করতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠছেন অনেকেই। ঘরের মাঠে মেক্সিকোর মতো দলের বিপক্ষে ড্রয়ের চেয়ে ভালো ফল আশা করতেই পারে ব্রাজিলিয়ানরা। কিন্তু সেই আশা গুড়ে বালি দিলেন এক গুইলার্মো ওচোয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top